মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং প্রতিনিধি : কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সোনালি রঙের সমারোহে ভরে উঠেছে ইরি-বোরো ধানের খেত। ভালো ফলনে চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক। তবে চলতি বোরো-ইরি মৌসুমে ধান কাটতে অতিরিক্ত মজুরি ও শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা।
দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। অনেকে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে ধান কাটছেন। অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন নোয়াপাড়া (সাদকপুর) গ্রামের আল আমিন জানান, এবছর তিনি তিন বিঘা ইরি ধান চাষ করেছিলেন, কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে,মাঠ থেকে দ্রুত ধান উঠাতে চেয়েছিলেন কিন্তু এবছর এক সাথে সব কৃষকের ধান পাকায় পুরুষ শ্রমিকের প্রচণ্ড সংকটে পড়েছে।
এদিকে, প্রতিদিন সন্ধ্যা আকাশে মেঘ থাকে এবং বিকালে হলে বৃষ্টি শুরু হয়, এ জন্য পাকা ধান জমিতে নষ্ট হতে না পারে।
ভারেল্লা ইউনিয়নের রামচন্দ্র পুর গ্রামের কৃষক জব্বার জানান, আমার এক বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এ ধান কাটতে পুরুষ শ্রমিকের মজুরি লাগবে ৭ হাজার টাকা। আমার পাকা ধান ঝরে পড়ছে।’ এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সবদিক থেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।