বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার বেলা ১১ ঘটিকায় একটি শোক র্যালি শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নাজিরপুর সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম ফরাজী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পিরোজপুর জেলা বি এন পির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বি এন পির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু ও নাজিরপুর উপজেলা বি এন পির সদস্য সচিব আবু হাসান খান।
আরে উপস্থিত ছিলেন, নাজিরপুর উপজেলা বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক মোঃ ইয়াহিয়া খান,আসাদুজ্জামান হাজরা টিপু, মোঃ তাওহীদুল ইসলাম, মোঃ সফিকুল ইসালাম শাফিক, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন বি এন পির সদস্য সচিব অনুপ কুমার সিকদার, সহ সাধারণ সম্পাদক এস,এম সিপার প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্য বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ছিল অনন্য।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এদেশের ইতিহাস পাল্টে যেতে পারত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রূপকার। তাঁর দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।
পরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।