ঢাকা , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট গোয়াইনঘাটে ডাউকি নদীতে চাঁদাবাজদের কাছে বালু শ্রমিকরা জিম্মি। মুলাদীতে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে আম জনগন পার্টির শুভেচ্ছা বিনিময়।    ভালুকায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ মাইলস্টোন স্কুলে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে সলঙ্গায় স্কুলে স্কুলে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মঠবাড়িয়ায় নাব্যতা হারানো খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রানীশংকৈল শাখার গভীর শোক প্রকাশ হিজলায় গাছ কেটে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ। কালীগঞ্জে এসএসসি-দাখিল পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণে কর্মশালা  দু’ উপজেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে বদরগঞ্জে চিকলি নদীর ভাংড়িরঘাটে অবশেষে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু দিনাজপুরে বনবিভাগ রোপন করছে নিষিদ্ধ আকাশমনির চারা

সিলেট গোয়াইনঘাটে ডাউকি নদীতে চাঁদাবাজদের কাছে বালু শ্রমিকরা জিম্মি।

সিলেট গোয়াইনঘাটে ডাউকি নদীতে চাঁদাবাজদের কাছে বালু শ্রমিকরা জিম্মি।


মোঃ ইকবাল মোরশেদ, স্টাফ রিপোর্টার। 
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে চাদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে হাজারও বালু শ্রমিক।
জানা যায়, কিছু লোক বালু শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে এর প্রতিবাদে অসহায় শ্রমিকরা এক বিক্ষোভ- প্রতিবাদ সভা করেছে। সিলেটের জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। অসহায় বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে নৌকা প্রতি ৮০০ টাকা করে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে যাদের নেতৃত্বে এসব চাঁদা উত্তোলন করা হতো তাদের লোকজনই কৌশল পরিবর্তন করে বর্তমানে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে।

এটা শ্রমিকদের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময়ের ফ্যাসিস্ট’র দোসররা এ চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলেও উল্টো এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, ডাউকি নদীতে হাজারও নৌকা দিয়ে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করছেন। জীবিকার তাগিদে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেলেও শান্তিতে নেই তারা। দেখা যায়, শ্রমিকরা বালু ভর্তি নৌকা নদীর তীরে এনে সেখানেই ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করতে নদীর তীরে কয়েকটি স্পটে রয়েছে চাঁদাবাজদের ভাসমান অফিস। সেখানে বসে চাঁদাবাজরা দৈনিক ৮শত টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে। শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন অন্তত ১২শ নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। সেই হিসেবে গড়ে দৈনিক চাঁদা উত্তোলনের পরিমাণ ধারায় ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।


এ প্রতিবেদক ডাউকি নদীতে যাওয়ার পর শতাধিক শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী তাদের বক্তব্য প্রদান করতে যান। এ সময় ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল খান জিয়ারত অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে নদীতে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে নৌকা প্রতি দৈনিক ৮০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে চাঁদাবাজরা।
পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো.কামাল আহমদ অভিযোগ করেন, চাঁদাবাজদের দৌরাত্মে শ্রমিকদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। তার অভিযোগ, পতিত সরকারের চাঁদাবাজরা নতুন রূপে চাঁদাবাজির মহোৎসব শুরু করেছে। তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।


যুবদল নেতা আতাউর রহমান বাদশার অভিযোগ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
সাধারণ শ্রমিকদের অভিযোগ, নৌকা প্রতি ৮০০ টাকা করে চাঁদা না দিলে তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচার। এমনকি তাদের সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করতে বাধা দেয়া হয়। এদিকে গতকাল জাফলং এর লন্ডনী বাজারে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন।

এতে বক্তারা বলেন, ফ্যসিস্ট্যার ফ্যাসিস্টের-দোসররা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকলেও স্ট্যালিন তারিয়াং নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ব্যবসায়ীর কাছে জনৈক ব্যক্তি কোটি টাকার চাঁদা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট গোয়াইনঘাটে ডাউকি নদীতে চাঁদাবাজদের কাছে বালু শ্রমিকরা জিম্মি।

সিলেট গোয়াইনঘাটে ডাউকি নদীতে চাঁদাবাজদের কাছে বালু শ্রমিকরা জিম্মি।

আপডেট সময় ১২:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

মোঃ ইকবাল মোরশেদ, স্টাফ রিপোর্টার। 
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে চাদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে হাজারও বালু শ্রমিক।
জানা যায়, কিছু লোক বালু শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে এর প্রতিবাদে অসহায় শ্রমিকরা এক বিক্ষোভ- প্রতিবাদ সভা করেছে। সিলেটের জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। অসহায় বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে নৌকা প্রতি ৮০০ টাকা করে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে যাদের নেতৃত্বে এসব চাঁদা উত্তোলন করা হতো তাদের লোকজনই কৌশল পরিবর্তন করে বর্তমানে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে।

এটা শ্রমিকদের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময়ের ফ্যাসিস্ট’র দোসররা এ চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলেও উল্টো এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, ডাউকি নদীতে হাজারও নৌকা দিয়ে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করছেন। জীবিকার তাগিদে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেলেও শান্তিতে নেই তারা। দেখা যায়, শ্রমিকরা বালু ভর্তি নৌকা নদীর তীরে এনে সেখানেই ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করতে নদীর তীরে কয়েকটি স্পটে রয়েছে চাঁদাবাজদের ভাসমান অফিস। সেখানে বসে চাঁদাবাজরা দৈনিক ৮শত টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে। শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন অন্তত ১২শ নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। সেই হিসেবে গড়ে দৈনিক চাঁদা উত্তোলনের পরিমাণ ধারায় ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।


এ প্রতিবেদক ডাউকি নদীতে যাওয়ার পর শতাধিক শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী তাদের বক্তব্য প্রদান করতে যান। এ সময় ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল খান জিয়ারত অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে নদীতে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে নৌকা প্রতি দৈনিক ৮০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে চাঁদাবাজরা।
পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো.কামাল আহমদ অভিযোগ করেন, চাঁদাবাজদের দৌরাত্মে শ্রমিকদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। তার অভিযোগ, পতিত সরকারের চাঁদাবাজরা নতুন রূপে চাঁদাবাজির মহোৎসব শুরু করেছে। তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।


যুবদল নেতা আতাউর রহমান বাদশার অভিযোগ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
সাধারণ শ্রমিকদের অভিযোগ, নৌকা প্রতি ৮০০ টাকা করে চাঁদা না দিলে তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচার। এমনকি তাদের সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করতে বাধা দেয়া হয়। এদিকে গতকাল জাফলং এর লন্ডনী বাজারে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন।

এতে বক্তারা বলেন, ফ্যসিস্ট্যার ফ্যাসিস্টের-দোসররা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকলেও স্ট্যালিন তারিয়াং নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ব্যবসায়ীর কাছে জনৈক ব্যক্তি কোটি টাকার চাঁদা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে