ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহী নগরীর বিনোদপুরে অজ্ঞাত মৃত নারীর সন্ধান চায় মতিহার থানা পুলিশ  জগন্নাথপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংর্ঘষ: নিহত ১, আহত ২০ জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভার প্রস্তুতি সভা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষীকি: নগরীর কাজলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্দ্যোগে পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ  নান্দাইলে আম ও জাম কুড়াতে গিয়ে পুকুরে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু নীরবে আলো ছড়ানো ভাসমান হাসপাতাল কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা পাড়ে জীবন তরী      বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও নারীদের রেসিপি প্রতিযোগিতা ত্রিশালে জিয়াউর রহমান’র শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল প্রতারণার শিকার রাজশাহীর সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ীরা ১৬ বছরেও দোকান বুঝে পাননি  রাজশাহীর আমের হাটে বৃষ্টির প্রভাব ক্ষতির মুখে আম ব্যবসায়ীরা 

বগুড়ায় ইয়াবাসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩জন 

বগুড়ায় ইয়াবাসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩জন 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বগুড়ায় ৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, 
বগুড়া পুলিশ লাইনে কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম (৩৩), জয়পুরহাট সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) সদস্য আব্দুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমির ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে, শহরের সাতমাথা এলাকায় একাত্তর আবাসিক হোটেলের সামনে তিনজন ব্যক্তি ইয়াবা বিক্রির জন্য অবস্থান করছেন। ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছালে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের ব্যাগ তল্লাশি করে ৭০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ইয়াবাগুলো কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও আব্দুল ওয়াহাবের কাছ থেকে পেয়েছেন এবং তারা বিকাশে ইয়াবার অর্থ লেনদেন করতেন। সাখাওয়াত হোসেনের বিকাশ নম্বর চেক করে ২৭ হাজার টাকার লেনদেনের প্রমাণও মেলে।

পরে জানা যায়, বগুড়ায় কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম কিছুক্ষণ আগে তাদের কাছ থেকে ১৫০টি ইয়াবা কিনে নিয়েছেন। তাকে শহরের নবাববাড়ী সড়কে পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ১৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট।

তাদের মধ্যে নায়েক আব্দুল আলীমকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ লাইনের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং বাকিদের রাখা হয় গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মাটিডালি এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় নায়েক আলীমকে পুনরায় আটক করা হয়।

এই ঘটনায় বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন।

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজনের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। তারা একে অপরের পূর্বপরিচিত এবং ঢাকায় একসময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় একসঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তাদের চার জেলায় বদলি করা হয়, তবে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।

পুলিশ সুপার বলেন, তাদের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী নগরীর বিনোদপুরে অজ্ঞাত মৃত নারীর সন্ধান চায় মতিহার থানা পুলিশ 

বগুড়ায় ইয়াবাসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩জন 

আপডেট সময় ০১:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বগুড়ায় ৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, 
বগুড়া পুলিশ লাইনে কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম (৩৩), জয়পুরহাট সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) সদস্য আব্দুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমির ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে, শহরের সাতমাথা এলাকায় একাত্তর আবাসিক হোটেলের সামনে তিনজন ব্যক্তি ইয়াবা বিক্রির জন্য অবস্থান করছেন। ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছালে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের ব্যাগ তল্লাশি করে ৭০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ইয়াবাগুলো কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও আব্দুল ওয়াহাবের কাছ থেকে পেয়েছেন এবং তারা বিকাশে ইয়াবার অর্থ লেনদেন করতেন। সাখাওয়াত হোসেনের বিকাশ নম্বর চেক করে ২৭ হাজার টাকার লেনদেনের প্রমাণও মেলে।

পরে জানা যায়, বগুড়ায় কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম কিছুক্ষণ আগে তাদের কাছ থেকে ১৫০টি ইয়াবা কিনে নিয়েছেন। তাকে শহরের নবাববাড়ী সড়কে পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ১৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট।

তাদের মধ্যে নায়েক আব্দুল আলীমকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ লাইনের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং বাকিদের রাখা হয় গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মাটিডালি এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় নায়েক আলীমকে পুনরায় আটক করা হয়।

এই ঘটনায় বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন।

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজনের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। তারা একে অপরের পূর্বপরিচিত এবং ঢাকায় একসময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় একসঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তাদের চার জেলায় বদলি করা হয়, তবে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।

পুলিশ সুপার বলেন, তাদের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।