ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তানোরে ইউপি সদস্যর পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ জুলাইয়ে সামাজিক জাগরণের প্রত্যয়: কালীগঞ্জে শপথ গ্রহণ নান্দাইলে পালিত “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ” গ্রহাণ অনুষ্ঠান। বিএনপি প্রত্যোকটি পরিবারকে সাবলম্বী করতে কাজ করে যাবে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী নাইক্ষ্যংছড়ি সিমাস্তে মিয়ানমারের অভ্যান্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। রাজশাহীতে প্রতারক মোস্তাফিজের বিচার দাবি করে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন রাজশাহীতে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন-মা ছেলে গ্রেফতার।  পলাতক আসামী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সানমুন, গ্রেফতার না হওয়ায় শংকিত গোদনাইলবাসী। বিরামপুরে খানপুর কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সংবর্ধনা সভা। হত্যার ১৬ দিন কেটে গেলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামীরা

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মব সৃষ্টি করে পুলিশে ধরিয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা 

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মব সৃষ্টি করে পুলিশে ধরিয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা 

সোহেল রানা, ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীচক্র। পরে আওয়ামী লীগ নেতা বলে আখ্যা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ৮টার দিকে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী স্বপন কুমার রায় কলম্বিয়া সুপার মার্কেটের একজন কসমেটিকস ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় ‘জ’ ব্লক আওয়ামী লীগের সভাপতি। ঘটনার সময় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাসুম ওরফে মোল্লা মাসুম দলবলসহ তার দোকানে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাসুমের নেতৃত্বে দলটি তাকে মার্কেটের বাইরে টেনে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে কড়াইল বস্তির দিকে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে বনানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাসুম এর আগেও স্বপনের কাছ থেকে একাধিকবার ১০-২০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেছে। কয়েকদিন ধরে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল সে। এবার বড় অঙ্কে টাকা দাবি করলে, স্বপন রাজি না হওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্বপনের স্বজনরা অভিযোগ করেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হামলা এবং মাসুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, মাসুম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। পূর্বে সে বিএনপি ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে দল থেকেও বহিষ্কৃত হয়। বর্তমানে বনানী ও আশপাশের এলাকায় সে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে বনানীর অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, মাসুমের চাঁদাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
প্রশ্ন উঠেছে: একজন ব্যবসায়ী, যিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও পরিচিত, তাকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে পুলিশে দেওয়া হলো—তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব কেন? এই ঘটনায় মাসুম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বপনের স্বজনরা।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে ইউপি সদস্যর পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মব সৃষ্টি করে পুলিশে ধরিয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা 

আপডেট সময় ০৪:১৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
সোহেল রানা, ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীচক্র। পরে আওয়ামী লীগ নেতা বলে আখ্যা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ৮টার দিকে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী স্বপন কুমার রায় কলম্বিয়া সুপার মার্কেটের একজন কসমেটিকস ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় ‘জ’ ব্লক আওয়ামী লীগের সভাপতি। ঘটনার সময় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাসুম ওরফে মোল্লা মাসুম দলবলসহ তার দোকানে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাসুমের নেতৃত্বে দলটি তাকে মার্কেটের বাইরে টেনে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে কড়াইল বস্তির দিকে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে বনানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাসুম এর আগেও স্বপনের কাছ থেকে একাধিকবার ১০-২০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেছে। কয়েকদিন ধরে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল সে। এবার বড় অঙ্কে টাকা দাবি করলে, স্বপন রাজি না হওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্বপনের স্বজনরা অভিযোগ করেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হামলা এবং মাসুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, মাসুম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। পূর্বে সে বিএনপি ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে দল থেকেও বহিষ্কৃত হয়। বর্তমানে বনানী ও আশপাশের এলাকায় সে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে বনানীর অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, মাসুমের চাঁদাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
প্রশ্ন উঠেছে: একজন ব্যবসায়ী, যিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও পরিচিত, তাকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে পুলিশে দেওয়া হলো—তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব কেন? এই ঘটনায় মাসুম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বপনের স্বজনরা।