ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেশের প্রয়োজনে গোলাপগঞ্জবাসী জীবন দিতে জানেন: ফয়সল চৌধুরী। পরিবেশ রক্ষায় বাপার কর্মশালা  বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ক্ষিলক্ষেত থানা রিপোর্টার্স ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি ফাহাদ মোল্লা, সম্পাদক রোমানা রহমান। তানোরে ইউপি সদস্যর পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ জুলাইয়ে সামাজিক জাগরণের প্রত্যয়: কালীগঞ্জে শপথ গ্রহণ নান্দাইলে পালিত “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ” গ্রহাণ অনুষ্ঠান। বিএনপি প্রত্যোকটি পরিবারকে সাবলম্বী করতে কাজ করে যাবে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী নাইক্ষ্যংছড়ি সিমাস্তে মিয়ানমারের অভ্যান্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। রাজশাহীতে প্রতারক মোস্তাফিজের বিচার দাবি করে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

পলাতক আসামী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সানমুন, গ্রেফতার না হওয়ায় শংকিত গোদনাইলবাসী।

পলাতক আসামী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সানমুন, গ্রেফতার না হওয়ায় শংকিত গোদনাইলবাসী।

স্টাফ রিপোর্টার : অস্ত্রের ঝনঝনানি আর রাহাজানির অন্যতম অপরাধী এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী সহ বর্তমান সময়ে চাঁদাবাজি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী অস্ত্র বিক্রেতা সানমুন এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অস্ত্র ও মাদক বিক্রি করে রামরাজত্ব চালাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর অন্যতম সদস্য সানমুন।


এলাকাবাসী জানায়, 
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ৮নং ওয়ার্ড গোদনাইল পুরাতন আইলপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান সেন্টুর ছেলে সানমুন (৩৫) আওয়ামী সরকার আমলে একটি মাদক সিন্ডিকেট ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে এলাকায় রামরাজত্ব চালিয়েছে। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও বন্দর জাতীয় পার্টির নেতা আফজাল হোসেনের নিকটাত্মীয় হওয়ায় খুব সহজেই আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর অন্যতম সদস্য হয়ে ওঠে। যার কারণে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে।


সানমুন ও তার বাবা সেন্টুর কোনো আয়ের উৎস না থাকলেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড এবং অস্ত্র বিক্রি করে পাঁচতলা বিল্ডিং নির্মাণ করছে। 
সানমুনের বোন জামাই স্বদেশ ও আরেক নিকটাত্মীয় রাব্বি সংঘবদ্ধ হয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা করছেনা। সানমুনের চাচাতো ভাই রাজু সম্প্রতি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলে রয়েছে

এবং এই বাহিনীর আরেক সদস্য মাদক বিক্রেতা কৌশিককেও ২৬ জুলাই থানা পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। সন্ত্রাসী সানমুন স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নামধারী পাতি নেতাদের আর্থিক আতাতের মাধ্যমে ম্যানেজ করে আশ্রয় প্রশ্রয়েও রয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ। ফতুল্লা মডেলছ থানায় সন্ত্রাসী সানমুন ও তার পিতা নারী লিপ্সু সেন্টুর নামে বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা রয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সানমুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও সেন্টুর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে।

তারপরও, কিভাবে কিশোর গ্যাং এর লিডার সানমুন বাহিনী এখনো বহাল তবিয়তে থাকে, এই প্রশ্ন গোদনাইলবাসীর। তবে কি পুলিশের সাথে আর্থিক আতাত করে সানমুন বাহিনী এখনো অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে আর যুব সমাজের মাঝে মাদক ও তুলে দিচ্ছে? এলাকাবাসী শংকিত ও আতংকিত হয়ে দ্রুত সানমুন ও তার বাহিনীকে গ্রেফতারের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের প্রয়োজনে গোলাপগঞ্জবাসী জীবন দিতে জানেন: ফয়সল চৌধুরী।

পলাতক আসামী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সানমুন, গ্রেফতার না হওয়ায় শংকিত গোদনাইলবাসী।

আপডেট সময় ১১:১৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার : অস্ত্রের ঝনঝনানি আর রাহাজানির অন্যতম অপরাধী এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী সহ বর্তমান সময়ে চাঁদাবাজি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী অস্ত্র বিক্রেতা সানমুন এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অস্ত্র ও মাদক বিক্রি করে রামরাজত্ব চালাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর অন্যতম সদস্য সানমুন।


এলাকাবাসী জানায়, 
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ৮নং ওয়ার্ড গোদনাইল পুরাতন আইলপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান সেন্টুর ছেলে সানমুন (৩৫) আওয়ামী সরকার আমলে একটি মাদক সিন্ডিকেট ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে এলাকায় রামরাজত্ব চালিয়েছে। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও বন্দর জাতীয় পার্টির নেতা আফজাল হোসেনের নিকটাত্মীয় হওয়ায় খুব সহজেই আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর অন্যতম সদস্য হয়ে ওঠে। যার কারণে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে।


সানমুন ও তার বাবা সেন্টুর কোনো আয়ের উৎস না থাকলেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড এবং অস্ত্র বিক্রি করে পাঁচতলা বিল্ডিং নির্মাণ করছে। 
সানমুনের বোন জামাই স্বদেশ ও আরেক নিকটাত্মীয় রাব্বি সংঘবদ্ধ হয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা করছেনা। সানমুনের চাচাতো ভাই রাজু সম্প্রতি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলে রয়েছে

এবং এই বাহিনীর আরেক সদস্য মাদক বিক্রেতা কৌশিককেও ২৬ জুলাই থানা পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। সন্ত্রাসী সানমুন স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নামধারী পাতি নেতাদের আর্থিক আতাতের মাধ্যমে ম্যানেজ করে আশ্রয় প্রশ্রয়েও রয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ। ফতুল্লা মডেলছ থানায় সন্ত্রাসী সানমুন ও তার পিতা নারী লিপ্সু সেন্টুর নামে বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা রয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সানমুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও সেন্টুর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে।

তারপরও, কিভাবে কিশোর গ্যাং এর লিডার সানমুন বাহিনী এখনো বহাল তবিয়তে থাকে, এই প্রশ্ন গোদনাইলবাসীর। তবে কি পুলিশের সাথে আর্থিক আতাত করে সানমুন বাহিনী এখনো অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে আর যুব সমাজের মাঝে মাদক ও তুলে দিচ্ছে? এলাকাবাসী শংকিত ও আতংকিত হয়ে দ্রুত সানমুন ও তার বাহিনীকে গ্রেফতারের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।