ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাকেরগঞ্জে সাগরিকা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ফরিদগঞ্জে পুলিশের এসআই-এর চুরি যাওয়া সরকারি অস্ত্র-গুলি ঢাকায় উদ্ধার। বদলগাছীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কলেজ ছাত্র গ্রেফতার জগন্নাথপুরে গোলায় উঠল ৪০০ কোটি টাকার ধান “ফসল কর্তন সমাপনী উৎসব” সম্পন্ন। কুমারখালীতে দুই ব্যবসায়ীকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা দুর্নীতির অভিযোগে কালীগঞ্জের সাবেক মেয়র রবীন হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ এর মতবিনিময় সভা। আলাউদ্দিন নগরে জেলার বৃহত্তম আবাসিক ও বাণিজ্যিকসহ বহুমাত্রিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন বাকৃবিতে ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাইক্ষ‍‍্যংছড়ি-সোনাইছড়ি পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ নেতা গ্রেফতার 

খানসামায় চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া, ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ 

খানসামায় চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া, ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ 

মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের চককাঞ্চন সাটিশাহ পাড়ায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. হাফিজুল ইসলাম খানসামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় দুই ব্যক্তি রাস্তার ওপর বেড়া ও গাছ রোপণের মাধ্যমে পাঁচটি পরিবারের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী হাফিজুল ইসলাম জানান, তিনি ২০২৩ সালে মো. নাঈম ও মো. জুয়েল (পিতা মো. মোকবুল হোসেন) এর কাছ থেকে বাজারমূল্যে এক লক্ষ টাকায় ২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমিটির রেজিস্ট্রি না হলেও তারা একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ খরচে ওই জমির ওপর চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করেন, যা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি নাঈম ও জুয়েল সরাসরি না এসে কিছু লোক দিয়ে রাতারাতি রাস্তায় বেড়া ও গাছ লাগিয়ে দেয়। এতে আমি এবং আশেপাশের আরও চারটি পরিবার চলাচল করতে পারছি না।
স্থানীয়রা জানান, বহু বছর ধরে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিলেন এলাকাবাসী। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলপড়ুয়া শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের চলাচল সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হচ্ছে। তারা দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাবকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, আমি দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি এবং ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কেউই উপস্থিত হয়নি। পরে বিষয়টি থানায় গড়িয়েছে।”

এ বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজমূল হক বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে সাগরিকা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

খানসামায় চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া, ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ 

আপডেট সময় ০৫:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের চককাঞ্চন সাটিশাহ পাড়ায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. হাফিজুল ইসলাম খানসামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় দুই ব্যক্তি রাস্তার ওপর বেড়া ও গাছ রোপণের মাধ্যমে পাঁচটি পরিবারের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী হাফিজুল ইসলাম জানান, তিনি ২০২৩ সালে মো. নাঈম ও মো. জুয়েল (পিতা মো. মোকবুল হোসেন) এর কাছ থেকে বাজারমূল্যে এক লক্ষ টাকায় ২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমিটির রেজিস্ট্রি না হলেও তারা একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ খরচে ওই জমির ওপর চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করেন, যা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি নাঈম ও জুয়েল সরাসরি না এসে কিছু লোক দিয়ে রাতারাতি রাস্তায় বেড়া ও গাছ লাগিয়ে দেয়। এতে আমি এবং আশেপাশের আরও চারটি পরিবার চলাচল করতে পারছি না।
স্থানীয়রা জানান, বহু বছর ধরে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিলেন এলাকাবাসী। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলপড়ুয়া শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের চলাচল সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হচ্ছে। তারা দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাবকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, আমি দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি এবং ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কেউই উপস্থিত হয়নি। পরে বিষয়টি থানায় গড়িয়েছে।”

এ বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজমূল হক বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।