ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনের লক্ষ্যে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তনের উদ্বোধন আনন্দ বাজারে ইউপি সদস্যের দূর্নীতির বিরুদ্ধে ও অপসারণরে দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে সন্ত্রাসী চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে রশিদপুর গ্রামবাসীর ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন নওগাঁর ওষুধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য রোগীদের কাছে হয়ে উঠেছে গলার কাটা  রাষ্ট্রদূত মুসফিকুল ফজল আনসারীর পিতার মৃত্যুতে মিফতাহ সিদ্দিকীর শোক প্রকাশ বেলকুচিতে বিষাক্ত এ্যালকোহল পানে ২ জনের মৃত্যু ১ জন গুরুতর অসুস্থ  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন  জগন্নাথপুরে পুলিশের ‘‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’’ অভিযানে জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাহিন গ্রেফতার আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন তিতুমীর কলেজের সামনে ছাত্রদল নেতার উপর হামলা, অভিযোগ অস্বীকার সদস্য সচিবের 

জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি

জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি

 

মাসুম আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল জগদীশপুর বড়খালের সেতু। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় এই সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৩০টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

এই সেতুটিই জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর, শ্রীধরপাশা, গলাখাল, কামারখাল, কান্দারগাঁও, কাদিপুর, নোয়াগাঁও, তেলিকোনাসহ আশপাশের শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার বহু গ্রামের মানুষের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর এবং সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।

বন্যার স্রোতে সেতুর পিলার দেবে গেছে এবং এপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। তবুও বিকল্প কোনো পথ না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন, এমনকি পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন এই বিপজ্জনক সেতু দিয়ে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর আশঙ্কা- যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তারা জানান, এলজিইডি’র আওতাধীন এই সেতুটি বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, আমাদের জীবন যেন সেতুর ওপরে ঝুলে আছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী ভ্যান, কৃষক, ব্যবসায়ী সবাইকে এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।


এলাকাবাসী জোর দাবি জানাচ্ছেন, 
এলজিইডি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি, যেন অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সেতু পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, অর্ধলক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।


জগন্নাথপুর এলজিইডি অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন,
 ইতিমধ্যে জগদীশপুর বড়খালের নব নির্মিতব্য সেতুর টেন্ডার হয়েছে। আশা করা যায়, যথা সম্ভব দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য সবাইকে সতর্কতা জানিয়ে সেতুর সম্মুখে সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনের লক্ষ্যে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তনের উদ্বোধন

জগন্নাথপুরের জগদীশপুর বড়খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি

আপডেট সময় ১২:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

মাসুম আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল জগদীশপুর বড়খালের সেতু। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় এই সেতুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৩০টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

এই সেতুটিই জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর, শ্রীধরপাশা, গলাখাল, কামারখাল, কান্দারগাঁও, কাদিপুর, নোয়াগাঁও, তেলিকোনাসহ আশপাশের শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার বহু গ্রামের মানুষের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর এবং সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।

বন্যার স্রোতে সেতুর পিলার দেবে গেছে এবং এপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। তবুও বিকল্প কোনো পথ না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন, এমনকি পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন এই বিপজ্জনক সেতু দিয়ে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর আশঙ্কা- যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তারা জানান, এলজিইডি’র আওতাধীন এই সেতুটি বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, আমাদের জীবন যেন সেতুর ওপরে ঝুলে আছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী ভ্যান, কৃষক, ব্যবসায়ী সবাইকে এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।


এলাকাবাসী জোর দাবি জানাচ্ছেন, 
এলজিইডি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি, যেন অতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সেতু পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, অর্ধলক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।


জগন্নাথপুর এলজিইডি অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন,
 ইতিমধ্যে জগদীশপুর বড়খালের নব নির্মিতব্য সেতুর টেন্ডার হয়েছে। আশা করা যায়, যথা সম্ভব দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য সবাইকে সতর্কতা জানিয়ে সেতুর সম্মুখে সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।