ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ  বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু হত্যার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামী না ধরায় উৎকন্ঠা পরিবার। সিয়াম হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অপর আসামীকে গ্রেফতার। বানারীপাড়ায় ধানের বস্তার নিচে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু  ঠাকুরগাঁওয়ে বিষমুক্ত আম চাষ- রপ্তানি মূখী কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা ​কাউখালীতে ২১ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই প্রধান শিক্ষক” ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে কার্যক্রম  বেনাপোল সীমান্তে অভিযানে  ভারতীয় মালামাল আটক করেছে বিজিবি প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে ভালুকার পারভেজ নিহত        বান্দরবান জেলা জামায়াতের বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি ক্যুইবেক বিএনপির

​কাউখালীতে ২১ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই প্রধান শিক্ষক” ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে কার্যক্রম 

​কাউখালীতে ২১ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই প্রধান শিক্ষক" ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে কার্যক্রম 

 

কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা।

পিরোজপুরের কাউখালীতে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই প্রধান শিক্ষক তবুও চালাতে হচ্ছে বিদ্যালয়। উপজেলার ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থায়ী প্রধান শিক্ষক না থাকায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষকরা এখন দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান শিক্ষকের।তাও সীমিত জনবল, সীমাহীন দায়িত্ব আর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা ঘিরে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুধু একজন প্রশাসনিক প্রধানই নন, শিক্ষার মান বজায় রাখতে তার ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রয়েছে বছরের পর বছর।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, অত্র উপজেলায়  ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে তার ভিতরে ২১ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য,৩১৩ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে রয়েছে ২৭৫ জন শিক্ষক। শূন্য পদে রয়েছে ৩৮ জন সহকারী শিক্ষক। তিনজন সহকারি শিক্ষা অফিসারের  পদ থাকলেও রয়েছে মাত্র একজন সরকারি শিক্ষা অফিসার। দুইটি পদ শূন্য রয়েছে।

একজন করে উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারি ও অফিস সহায়ক পদ শূন্য হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কাজ চালাতে হচ্ছে। পাঠদান, দাপ্তরিক কাজ থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের ছোট-বড় সব কাজ এখন সামলাচ্ছেন সিনিয়র সহকারি শিক্ষকরা। শিক্ষক কম থাকার কারণে শিক্ষকদের অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।

জোলাগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় সব দায়িত্ব আমাদেরই সামলাতে হচ্ছে। ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি অফিসিয়াল কাজ করতে হচ্ছে।

দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিজলী হালদার জানান,
 প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুধু শিক্ষক নন, পুরো বিদ্যালয়ের অভিভাবক।

উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ ফকির বলেন, 
প্রধান শিক্ষকের পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এর বিকল্প হয় না। প্রধান শিক্ষক হল উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান অভিভাবক। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অন্য শিক্ষকরা তা নিতে পারেন না। এজন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকা দরকার।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ 

​কাউখালীতে ২১ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই প্রধান শিক্ষক” ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে কার্যক্রম 

আপডেট সময় ০৯:১৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা।

পিরোজপুরের কাউখালীতে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই প্রধান শিক্ষক তবুও চালাতে হচ্ছে বিদ্যালয়। উপজেলার ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থায়ী প্রধান শিক্ষক না থাকায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষকরা এখন দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান শিক্ষকের।তাও সীমিত জনবল, সীমাহীন দায়িত্ব আর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা ঘিরে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুধু একজন প্রশাসনিক প্রধানই নন, শিক্ষার মান বজায় রাখতে তার ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রয়েছে বছরের পর বছর।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, অত্র উপজেলায়  ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে তার ভিতরে ২১ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য,৩১৩ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে রয়েছে ২৭৫ জন শিক্ষক। শূন্য পদে রয়েছে ৩৮ জন সহকারী শিক্ষক। তিনজন সহকারি শিক্ষা অফিসারের  পদ থাকলেও রয়েছে মাত্র একজন সরকারি শিক্ষা অফিসার। দুইটি পদ শূন্য রয়েছে।

একজন করে উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারি ও অফিস সহায়ক পদ শূন্য হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কাজ চালাতে হচ্ছে। পাঠদান, দাপ্তরিক কাজ থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের ছোট-বড় সব কাজ এখন সামলাচ্ছেন সিনিয়র সহকারি শিক্ষকরা। শিক্ষক কম থাকার কারণে শিক্ষকদের অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।

জোলাগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় সব দায়িত্ব আমাদেরই সামলাতে হচ্ছে। ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি অফিসিয়াল কাজ করতে হচ্ছে।

দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিজলী হালদার জানান,
 প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুধু শিক্ষক নন, পুরো বিদ্যালয়ের অভিভাবক।

উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ ফকির বলেন, 
প্রধান শিক্ষকের পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এর বিকল্প হয় না। প্রধান শিক্ষক হল উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান অভিভাবক। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অন্য শিক্ষকরা তা নিতে পারেন না। এজন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকা দরকার।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।