ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা মোরাদুজ্জামান-এঁর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে জুলাই পুনর্জাগরণের প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে পুলিশের অভিযানে ৮ জুয়াড়ু আটক মাধবপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধা নিহত নাইক্ষ‌্যংছড়ি সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ উদ্ধার করেছে বিজিবি।  নবীনগরের যুবককে সৌদি আরবে পাঠিয়ে প্রতারণা: কাজ না দিয়ে ফের হাতিয়ে নেয় ৫ লাখ টাকা  জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ হচ্ছে রাজশাহীতে  ঢাকা সিলেট মহাসড়কে মোটরসাইকেল এর চাপায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত  বোয়ালখালীতে ওসির গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়েছে দুবৃর্ত্তরা চট্টগ্রামে এনসিপির পদযাত্রা কাল, হামলার আশংকা। 

নান্দাইলে প্রবাসীর জমি ও বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ.

নান্দাইলে প্রবাসীর জমি ও বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ.

 

নিজস্ব প্রতিবেদক- তৌহিদুল ইসলাম সরকার।

ময়মনসিংহের- নান্দাইল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাচপাড়া গ্রামের প্রবাসী মোঃ ফরিদ মিয়া তাঁর ছোট ভাই আল-আমীন ও তার স্ত্রী ময়না আক্তারের বিরুদ্ধে জমি ও বাড়ি জোরপূর্বক দখলের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

ভুক্তভোগী ফরিদ মিয়া জানান, তাঁর পিতা আব্দুল বারেক ২০০৫ সালের ৩০ আগস্ট মারা যাওয়ার পর তিনি পারিবারিক কিছু জটিলতা নিরসনে মামলা দায়ের করেন। এরপর তিনি জীবিকার তাগিদে বিদেশ চলে যান। বিদেশে অবস্থানকালে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ছোট ভাই আল-আমীন এর ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত অর্থ পাঠাতেন। টানা তিন বছর তিনি প্রায় ২১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু এর কোনো হিসাব আজ পর্যন্ত পাননি।

২০০৯ সালে দেশে ফিরে তিনি দেখতে পান যে, তার ভাই আল-আমীন গোপনে তাঁদের বসতভিটায় একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে এবং পৈতৃক সম্পত্তি ও ফসলি জমিও বিক্রি করে দিয়েছে বলে আশেপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করিয়াছে। ফরিদ মিয়া অভিযোগ করেন, এই সম্পত্তির কোনও কাগজপত্র তাঁকে দেখাতে পারেনি আল-আমীন বা তার স্ত্রী।

তিনি বলেন, এই জমি আমরা বড় দুই ভাই – আমি ও শাহাজাহান – আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে খাউলা করে নিই। কিন্তু ছোট দুই ভাই আল-আমীন ও রুহুল আমিন কখনো কোনো টাকা দেয়নি বরং এখন পুরো জমির দখল নিয়ে বসে আছে। জমি চাইলেই বলে, বড় ভাইদের কোনো জমি নেই।

সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি সরেজমিনে গেলে, আল-আমীনের স্ত্রী ময়না আক্তার প্রথমে বলেন, ফরিদ সব সম্পত্তি ৯ বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। কখনও বলেন দলিল করেছে, আবার কখনও বলেন স্ট্যাম্পে সই করে দিয়েছেন – কিন্তু কোনোটিরই সুনির্দিষ্ট দলিল দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে ফরিদ মিয়ার বক্তব্য, আমি যদি জমি বিক্রি করেই থাকি, তাহলে তারা জনসম্মুখে বৈধ কাগজপত্র দেখাক। যদি দেখাতে না পারে, তাহলে আমার জমি ও বসতভিটা থেকে তাদের দখল সরিয়ে নেওয়া হোক – এটাই আমার অনুরোধ।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী ফরিদ মিয়া।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা মোরাদুজ্জামান-এঁর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত 

নান্দাইলে প্রবাসীর জমি ও বসতভিটা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ.

আপডেট সময় ০৫:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক- তৌহিদুল ইসলাম সরকার।

ময়মনসিংহের- নান্দাইল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাচপাড়া গ্রামের প্রবাসী মোঃ ফরিদ মিয়া তাঁর ছোট ভাই আল-আমীন ও তার স্ত্রী ময়না আক্তারের বিরুদ্ধে জমি ও বাড়ি জোরপূর্বক দখলের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

ভুক্তভোগী ফরিদ মিয়া জানান, তাঁর পিতা আব্দুল বারেক ২০০৫ সালের ৩০ আগস্ট মারা যাওয়ার পর তিনি পারিবারিক কিছু জটিলতা নিরসনে মামলা দায়ের করেন। এরপর তিনি জীবিকার তাগিদে বিদেশ চলে যান। বিদেশে অবস্থানকালে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ছোট ভাই আল-আমীন এর ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত অর্থ পাঠাতেন। টানা তিন বছর তিনি প্রায় ২১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু এর কোনো হিসাব আজ পর্যন্ত পাননি।

২০০৯ সালে দেশে ফিরে তিনি দেখতে পান যে, তার ভাই আল-আমীন গোপনে তাঁদের বসতভিটায় একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে এবং পৈতৃক সম্পত্তি ও ফসলি জমিও বিক্রি করে দিয়েছে বলে আশেপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করিয়াছে। ফরিদ মিয়া অভিযোগ করেন, এই সম্পত্তির কোনও কাগজপত্র তাঁকে দেখাতে পারেনি আল-আমীন বা তার স্ত্রী।

তিনি বলেন, এই জমি আমরা বড় দুই ভাই – আমি ও শাহাজাহান – আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে খাউলা করে নিই। কিন্তু ছোট দুই ভাই আল-আমীন ও রুহুল আমিন কখনো কোনো টাকা দেয়নি বরং এখন পুরো জমির দখল নিয়ে বসে আছে। জমি চাইলেই বলে, বড় ভাইদের কোনো জমি নেই।

সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি সরেজমিনে গেলে, আল-আমীনের স্ত্রী ময়না আক্তার প্রথমে বলেন, ফরিদ সব সম্পত্তি ৯ বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। কখনও বলেন দলিল করেছে, আবার কখনও বলেন স্ট্যাম্পে সই করে দিয়েছেন – কিন্তু কোনোটিরই সুনির্দিষ্ট দলিল দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে ফরিদ মিয়ার বক্তব্য, আমি যদি জমি বিক্রি করেই থাকি, তাহলে তারা জনসম্মুখে বৈধ কাগজপত্র দেখাক। যদি দেখাতে না পারে, তাহলে আমার জমি ও বসতভিটা থেকে তাদের দখল সরিয়ে নেওয়া হোক – এটাই আমার অনুরোধ।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী ফরিদ মিয়া।