কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। রাজুর অন্যতম সহযোগী স্বদেশ, কদু, রোহান, পলাশ, রাব্বি ও কৌশিক এলাকায় ছিচকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন চিপা চাপায় রাজুর নেতৃত্বে ছিনতাই করে আসছিল। বিভিন্ন গার্মেন্টস এর শ্রমিক এবং এলাকায় নতুন কোন অতিথি আসলে তাদের পিস্তলের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ও নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। সম্প্রতি এক গরীব অসহায় জাউল্লার কয়েক লাখ টাকা মূল্যের জাল ও ভ্যানগাড়ী ছিনিয়ে নেয় রাজু ও সানমুন গ্রুপ। এই গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। বেশ কয়েকদিন যাবৎ এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি এবং চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল রাজু ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
রাজু, সানমুন দীর্ঘদিন যাবৎ বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর সদস্য থেকে অনেক চাঁদাবাজি করেছে। যা এখনও ভোল্ট পাল্টে বহান তবিয়তে রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সানমুন ও সেন্টু এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
তারপরও রাজুকে পুলিশ গ্রেফতার করায় থানা পুলিশকে এলাকাবাসী ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে। এলাকায় বিভিন্ন ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র এই চিহ্নিত অপরাধীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করায়। এখন সানমুন ও তার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিক্ষায় রয়েছে স্থানীয় আইলপাড়া, পাঠানটুলী ও গোদনাইলবাসী।