নিজস্ব প্রতিবেদক।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের টানা গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক বিজয় অর্জন হলেও এখন পর্যন্ত গণতান্ত্রের চুড়ান্ত বিজয় হয়নি। ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখন সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান রয়েছে, এখন তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে একটি গুপ্ত বাহিনী। যাদের ভোটের মাঠে কোন ভিত্তি নেই, জনসমর্থন নেই।
তারা এখন বিএনপির চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। বিএনপি ও জিয়া পরিবারের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে তারা এখন দিশেহারা, তারা বুঝে গেছে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিবে। তাই তারা এখন বিএনপি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা এখন ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যা বিগত সময়ে হাসিনা ও আওয়ামীলীগ করেছিল। অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ তাদের এসব অপকর্ম প্রক্ষান্তরে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানীর সামিল। কিন্তু তারা হয়তোবা ভুলে গেছে যে বিগত সাড়ে ১৫ বছর গণখুনি শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করে এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের নাম মুছে দিতে পারে নি। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন মানুষ বিএনপি ও তারেক রহমানের উপর আস্থাশীল, এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে বিএনপিকে মুছে দেয়া যাবে না।
বুধবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারাই সবচেয়ে বেশী অপকর্মে জড়িত। নিজেদের অপকর্মকে আড়াল করতেই তারা বিএনপি ও তারেক রহমানকে টার্গেটে পরিণত করেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামীলীগ একই কাজ করেছিল, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, তাদেরও একই পরিনাম হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ভেঙ্গে পড়া রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করার জন্য যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন তা আজ মজলুম মানুষের মুক্তির সনদে পরিণত হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই ৩১ দফা সংষ্কার কর্মসূচির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে একটি সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। তাই এখন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজ শুরু করতে হবে, প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি মহল্লায় ধানের শীষের পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে, সবাইকে সম্মিলিত ভাবে মাঠে কাজ করে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে। আর ধানের শীষকে বিজয়ী করে বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলেই কেবল এসব সংষ্কার কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করে একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আরো বলেন, এই জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৃতিক সম্পদে ভরপুর। আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা খনিজ সম্পদ দান করেছেন, প্রকৃতি সৌন্দর্য দান করেছেন। একটি টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকৃতিক ভারসাম্যনে বজায় রেখে সনাতন পদ্ধতিতে বালু পাথর উত্তোলন এবং এই অঞ্চলে একটি পর্যটন হাব গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে করে একদিকে যেমন শ্রমিকরা উপকৃত হবেন, অন্যদিকে প্রচুর কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বলে বিজয়ী করে বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে এসব বাস্তাবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।
জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুস শক্কুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মামুনুর রশিদ মামুন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব এইচ এম রায়হান।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন- ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ মতিন, ২নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নিজপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী, ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান মহিব, সিলেট জেলার কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হুসেন বিলাল, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা তাহির আলী কলাই, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হক মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবিএম জাকারিয়া, সদস্য সচিব আল মামুন, জৈন্তাপুর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ১নং নিজপাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস শক্কুর মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খাঁন, ২নং নিজপাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জালাল মেম্বার, ৪নং দরবস্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কুদরত উল্লাহ ভান্ডারি, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসলিম মেম্বার, ৩নং চারিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মেম্বার,সাধারণ সম্পাদক হাফিজ জালাল উদ্দীন, ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক, আব্দুর রহমান, কবির আহমদ, তাজুল ইসলাম, রায়হান আহমদ, কামাল আহমদ, আলহাজ্ব আব্দুল করিম, রফিক আহমদ, ইসমাইল আলী নাজিম, গোলাম কিবরিয়া, নুরুউদ্দীন, আব্দুল মতিন, সমসু উদ্দিন, আব্দুল মুসব্বির, আব্দুল মালেক, মামুনুর রশিদ মামুন, আমিনুল ইসলাম সুহেল, অঞ্জল রাম দাস, সুহেল আহমেদ, সাব্বির আহমেদ, সেলিম আহমদ, আব্দুর রউফ দুলাল, নাজমুল হক ইয়াজুল, নাছির উদ্দীন রাজ, মহিবুর রহমান মুহিব, মনির আহমদ রাসেল, মহিউদ্দিন বেলাল, মুয়াজ্জেম হুসেন, হেলাল আহমদ, শাহজাহান আহমদ, সাহেদ আহমদ, সম্রাট হোসেন, দিলু মিয়া, আক্তার আহমদ, সুমন মেব্বার, নাছির আহমদ, ফয়জুল হক, রুবেল আহমদ, শাহাজান, কামাল আহমদ, ইসমাইল মিয়া রিপন, জামিল আহমদ, এম আর মামুন, সাজিদ আহমদে তারেক, পাবেল আহমদ, আলামিন, শাওন আহমদ, নাসির উদ্দীন, সুহেল রিমন, আব্দুল মতিন খসরু, রহমত মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, আলিম উদ্দিন, শাহীন আহমদ, সাইফুল ইসলাম, ফারহান, সুহেল আহমদ, জাহাঙ্গীর আহমেদ জাবেদ, মোঃ ফারুক প্রমূখ।