ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২৪ ঘন্টার মধ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা গোপালগঞ্জের অভিমুখে মার্চ করতে বাধ্য হবে- ডক্টর হেলাল উদ্দিন বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সামনে দুই বোনের উপর হামলা  সিদ্ধিরগঞ্জে ডাকাত রাজু গ্রেফতার হলেও অধরা অস্ত্রবাজ সানমুন বাংলাদেশকে কিছু দল মৃত্যুপুরী বানাচ্ছে : মোমিন মেহেদী   জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ব্রাহ্মণপাড়ায় সরকারি খালের উপর থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ঢাকায় মহাসমাবেশকে স্বাগত জানিয়ে বুড়িচংয়ে জামায়াতের মিছিল রাজশাহীতে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ও ইয়াবা-সহ নারী গ্রেফতার ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা 

বানারীপাড়ায় বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা

বানারীপাড়ায় বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় দীর্ঘ ৮ বছর পরে আগামী ২০ জুলাই অনুষ্ঠেয় উপজেলা ও পৌর বিএনপির বহু কাঙ্খিত ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মূখরতার সৃষ্টি হয়েছে। কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে উপজেলা, পৌর ও ৮ ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়গুলো নেতা-কর্মীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

দলীয় কার্যালয় থেকে চায়ের দোকান সর্বত্র আড্ডা-আলাপে বিএনপির কাউন্সিল প্রসঙ্গ, মূখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদপদবি পেতে পদ প্রত্যাশীদের জোর লবিং তদবির চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবিসহ দলের দুঃসময়ের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও অবদানের কথা তুলে ধরে তাদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে ফেসবুকে নিজের প্রার্থীতার জানান, দিয়ে কাউন্সিলের ভোটারসহ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করছেন। সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে শ্রাবণের বর্ষণমূখর রাত-দিন একাকার করে নেতা-কর্মীদের কাছে ছুঁটছেন, মনজয় করে সমর্থন পেতে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর উপস্থিতিতে তার উজিরপুরের গুঠিয়ার বাসভবনে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল বিষয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বরিশাল জেলা বিএনপির (দঃ) আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিনসহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় আগামী ২০ জুলাই বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিলের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়।

দলীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়ন শাখা বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটির ভোটে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের দলের পুর্নাঙ্গ কমিটির ভোটে পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। ইতোমধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির আহবায়ক মো. শাহ আলম মিঞা ও যুগ্ম আহবায়ক মো. মঞ্জুর খান, সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সদস্য সচিব  রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাষ্টার সিভি জমা দিয়েছেন। এছাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান আহবায়ক আহসান কবির নান্না হাওলাদার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সালাম ও যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন মাঝি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সদস্য সচিব মো, হাবিবুর রহমান জুয়েল সিভি জমা দিয়েছেন।

এদের বাহিরেও প্রার্থী হিসেবে কারও কারও নামের গুঞ্জন রয়েছে। কাউন্সিলের দিনক্ষন যত ঘনিয়ে আসবে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে কিংবা কমতেও পারে। আবার দু-একজনের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা ও  পৌর বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা যথেষ্ট সচেতন। সব তাদের নখদর্পণে রয়েছে। কারা দুঃসময়ের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব এবং দল কাদের হাতে নিরাপদ সেটা তারা ভালো করেই জানেন। কাউন্সিলে ভোটার সদস্যরা দলের কঠিন দুঃসময়ে কার কি অবদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষা সেটা বিচার-বিশ্লেষন করে নিশ্চয়ই “পরীক্ষিত যোগ্য নেতৃত্ব” নির্বাচন করবেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মো. শাহ আলম মিঞা বলেন, দলের দুঃসময়ে প্রতিকুল পরিবেশে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইবার (উপ নির্বাচনসহ) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছি। জোরপূর্বক আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বহু মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, কারাবরণ করেছি। আসন্ন কাউন্সিলে ভোটাররা নিশ্চয়ই এর যথার্থ মূল্যায়ণ করবেন বলে আমার ঐকান্তিক বিশ্বস। অপর সভাপতি প্রার্থী মঞ্জুর খান বলেন, সভাপতি পদে সিভি জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের প্রতি আস্থা রয়েছে। তারা মূল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদী।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা বলেন, ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম, বহু মামলা, হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি, বার বার কারাবরণ করেছি। কঠিন দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়ে গোটা উপজেলায় দলের শক্ত ভিত তৈরী করেছি। দলের কাউন্সিলে নেতা-কর্মীরা এর যথার্থ মূল্যায়ন করবেন বলে আমি আশাবাদী।

অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাষ্টার বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। এর আগেও, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করে পৌর শহর থেকে উপজেলার তৃনমূল পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত করেছি। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে কাউন্সিলে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সঠিক নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে।

 এদিকে, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরাও “ব্যালটের” মাধ্যমে দলের দুঃসময়ে তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের যথার্থ মূল্যায়ন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা সাধারণ সম্পাদক এবং আহসান কবির নান্না হাওলাদার পৌর বিএনপির সভাপতি ও আব্দুস সালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর ৫ বছর পরে ২০২২ সালে মো. শাহ আলম মিঞাকে আহবায়ক ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধাকে সদস্য সচিব করে উপজেলা বিএনপি এবং আহসান কবির নান্না হাওলাদারকে আহবায়ক ও হাবিবুর রহমান জুয়েলকে সদস্য সচিব করে পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

গত তিন বছর ধরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির এ আহবায়ক কমিটি দায়িত্ব পালণ করছে। তবে উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটি রয়েছে। এদিকে, বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা দলের দুঃসময়ের ত্যাগী, নির্যাতিত, পরীক্ষিত, সৎ, সাহসী ও কর্মীবান্ধব জিয়া অন্তঃপ্রাণ নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

২৪ ঘন্টার মধ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা গোপালগঞ্জের অভিমুখে মার্চ করতে বাধ্য হবে- ডক্টর হেলাল উদ্দিন

বানারীপাড়ায় বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা

আপডেট সময় ০৩:২৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় দীর্ঘ ৮ বছর পরে আগামী ২০ জুলাই অনুষ্ঠেয় উপজেলা ও পৌর বিএনপির বহু কাঙ্খিত ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মূখরতার সৃষ্টি হয়েছে। কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে উপজেলা, পৌর ও ৮ ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়গুলো নেতা-কর্মীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

দলীয় কার্যালয় থেকে চায়ের দোকান সর্বত্র আড্ডা-আলাপে বিএনপির কাউন্সিল প্রসঙ্গ, মূখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদপদবি পেতে পদ প্রত্যাশীদের জোর লবিং তদবির চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবিসহ দলের দুঃসময়ের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও অবদানের কথা তুলে ধরে তাদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে ফেসবুকে নিজের প্রার্থীতার জানান, দিয়ে কাউন্সিলের ভোটারসহ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করছেন। সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে শ্রাবণের বর্ষণমূখর রাত-দিন একাকার করে নেতা-কর্মীদের কাছে ছুঁটছেন, মনজয় করে সমর্থন পেতে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর উপস্থিতিতে তার উজিরপুরের গুঠিয়ার বাসভবনে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল বিষয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বরিশাল জেলা বিএনপির (দঃ) আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিনসহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় আগামী ২০ জুলাই বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিলের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়।

দলীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়ন শাখা বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটির ভোটে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের দলের পুর্নাঙ্গ কমিটির ভোটে পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। ইতোমধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির আহবায়ক মো. শাহ আলম মিঞা ও যুগ্ম আহবায়ক মো. মঞ্জুর খান, সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সদস্য সচিব  রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাষ্টার সিভি জমা দিয়েছেন। এছাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান আহবায়ক আহসান কবির নান্না হাওলাদার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সালাম ও যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন মাঝি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সদস্য সচিব মো, হাবিবুর রহমান জুয়েল সিভি জমা দিয়েছেন।

এদের বাহিরেও প্রার্থী হিসেবে কারও কারও নামের গুঞ্জন রয়েছে। কাউন্সিলের দিনক্ষন যত ঘনিয়ে আসবে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে কিংবা কমতেও পারে। আবার দু-একজনের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা ও  পৌর বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা যথেষ্ট সচেতন। সব তাদের নখদর্পণে রয়েছে। কারা দুঃসময়ের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব এবং দল কাদের হাতে নিরাপদ সেটা তারা ভালো করেই জানেন। কাউন্সিলে ভোটার সদস্যরা দলের কঠিন দুঃসময়ে কার কি অবদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষা সেটা বিচার-বিশ্লেষন করে নিশ্চয়ই “পরীক্ষিত যোগ্য নেতৃত্ব” নির্বাচন করবেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী মো. শাহ আলম মিঞা বলেন, দলের দুঃসময়ে প্রতিকুল পরিবেশে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইবার (উপ নির্বাচনসহ) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছি। জোরপূর্বক আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বহু মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, কারাবরণ করেছি। আসন্ন কাউন্সিলে ভোটাররা নিশ্চয়ই এর যথার্থ মূল্যায়ণ করবেন বলে আমার ঐকান্তিক বিশ্বস। অপর সভাপতি প্রার্থী মঞ্জুর খান বলেন, সভাপতি পদে সিভি জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের প্রতি আস্থা রয়েছে। তারা মূল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদী।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা বলেন, ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম, বহু মামলা, হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি, বার বার কারাবরণ করেছি। কঠিন দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়ে গোটা উপজেলায় দলের শক্ত ভিত তৈরী করেছি। দলের কাউন্সিলে নেতা-কর্মীরা এর যথার্থ মূল্যায়ন করবেন বলে আমি আশাবাদী।

অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাষ্টার বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। এর আগেও, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করে পৌর শহর থেকে উপজেলার তৃনমূল পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত করেছি। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে কাউন্সিলে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সঠিক নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে।

 এদিকে, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরাও “ব্যালটের” মাধ্যমে দলের দুঃসময়ে তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের যথার্থ মূল্যায়ন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে এস.সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা সাধারণ সম্পাদক এবং আহসান কবির নান্না হাওলাদার পৌর বিএনপির সভাপতি ও আব্দুস সালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর ৫ বছর পরে ২০২২ সালে মো. শাহ আলম মিঞাকে আহবায়ক ও রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধাকে সদস্য সচিব করে উপজেলা বিএনপি এবং আহসান কবির নান্না হাওলাদারকে আহবায়ক ও হাবিবুর রহমান জুয়েলকে সদস্য সচিব করে পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

গত তিন বছর ধরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির এ আহবায়ক কমিটি দায়িত্ব পালণ করছে। তবে উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটি রয়েছে। এদিকে, বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা দলের দুঃসময়ের ত্যাগী, নির্যাতিত, পরীক্ষিত, সৎ, সাহসী ও কর্মীবান্ধব জিয়া অন্তঃপ্রাণ নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।