ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলবাড়ী উপজেলার শিবপুর গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিট গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী কফিল উদ্দিন গ্রেফতার। চান্দিনায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন বিষয়ক ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান বোয়ালখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা  বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার। পটিয়া চন্দনাইশ নতুন ওসি নুরুজ্জামান ও গোলাম সরওয়ার  অপহরণ মামলার ১ নং এজাহারনামীয় আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার। ব্রাহ্মণপাড়ায় কমফোর্ট হসপিটালের শুভ উদ্ভোধন যুক্তরাজ্য সফরে সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ-কে ফুলেল শু‌ভেচ্ছা জানিয়েছে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

শরীয়তপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় বিজিবি সদস্য গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় বিজিবি সদস্য গ্রেপ্তার

মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীয়তপুর প্রতিনিধি। শরীয়তপুর সদর উপজেলা রুদ্রকর ইউনিয়ন মধ্য চররোসন্ধি গ্রামের কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সুলাইমান মুন্সি (২৬) নামে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। সুলাইমান মুন্সির বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশাভোগ গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। সুলাইমান পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্পে সিপাহী পদে কর্মরত বলে জানান পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার মেয়েটি (নাম প্রকাশ করা হলো) শরীয়তপুর সরকারী  কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সুলাইমান মুন্সি।শুধু তাই নয় মেয়েটি কাজ হতে বিভিন্ন সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকা ও হাতিয়ে নেয়। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুলাইমান।

গত ২৮ জুন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শরীয়তপুর জেলা শহরের শাহজালাল হাসপাতালের উপরে হোটেল মেরিডিয়ান এর ৫ম তলায় রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সুলাইমান।ধর্ষণের সময় কৌশলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সুলাইমান। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী জানতে পারে সুলাইমান বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান আছে।

পরে ওই ছাত্রী তাকে বিয়ের চাপ দিলে সে টালবাহানা করে এবং একপর্যায়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপরেও সুলাইমান ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে ওই ছাত্রী রাজী না হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় সুলাইমান। পরবর্তীতে পরিবার ওই ছাত্রীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। আজ রোববার (৬ জুলাই) ছিল ওই ছাত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন।


সুলাইমান এ খবর জানতে পেরে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ওই ছাত্রীর আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট উক্ত অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।
 এতে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুণ্ন হয় এবং বিয়ে ভেঙে যায়। আজ সকালে সুলাইমান ওই ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন লোকজনকে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও দেখাতে থাকে। এ সময় এলাকাবাসী তাকে ধরে বেঁধে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ সুলাইমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় সুলাইমনের বলে বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করলে বিকেলে সুলাইমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় আজ এক বিজিবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবপুর গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিট

শরীয়তপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় বিজিবি সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৯:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীয়তপুর প্রতিনিধি। শরীয়তপুর সদর উপজেলা রুদ্রকর ইউনিয়ন মধ্য চররোসন্ধি গ্রামের কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সুলাইমান মুন্সি (২৬) নামে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। সুলাইমান মুন্সির বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশাভোগ গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। সুলাইমান পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্পে সিপাহী পদে কর্মরত বলে জানান পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার মেয়েটি (নাম প্রকাশ করা হলো) শরীয়তপুর সরকারী  কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সুলাইমান মুন্সি।শুধু তাই নয় মেয়েটি কাজ হতে বিভিন্ন সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকা ও হাতিয়ে নেয়। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুলাইমান।

গত ২৮ জুন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শরীয়তপুর জেলা শহরের শাহজালাল হাসপাতালের উপরে হোটেল মেরিডিয়ান এর ৫ম তলায় রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সুলাইমান।ধর্ষণের সময় কৌশলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সুলাইমান। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী জানতে পারে সুলাইমান বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান আছে।

পরে ওই ছাত্রী তাকে বিয়ের চাপ দিলে সে টালবাহানা করে এবং একপর্যায়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপরেও সুলাইমান ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে ওই ছাত্রী রাজী না হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় সুলাইমান। পরবর্তীতে পরিবার ওই ছাত্রীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। আজ রোববার (৬ জুলাই) ছিল ওই ছাত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন।


সুলাইমান এ খবর জানতে পেরে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ওই ছাত্রীর আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট উক্ত অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।
 এতে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুণ্ন হয় এবং বিয়ে ভেঙে যায়। আজ সকালে সুলাইমান ওই ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন লোকজনকে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও দেখাতে থাকে। এ সময় এলাকাবাসী তাকে ধরে বেঁধে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ সুলাইমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় সুলাইমনের বলে বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করলে বিকেলে সুলাইমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় আজ এক বিজিবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।