মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। গেল এক সপ্তার ব্যবধানে পদ্মা নদীর রাজশাহী সীমান্তে পানি বেড়েছে ১১. দশমিক ৬৮ মিটার। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১জুলাই) বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর পানি ছিল ১১ দশমিক ৪৮ মিটার।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৯ জুন বিকেল ৩টায় পদ্মার পানি ছিল ১০ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার। তারপরের দিন ৩০ জুন (সোমবার) পদ্মার পানি দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটারে। এছাড়া সর্বশেষ মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর পানি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। আর রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার।
সরেজমিনে কাজলা ফুলতলা গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মা নদীতে পানির সঙ্গে ভেসে আসছে কচুরিপানা। সেই কুচুরিপানগুলো উজান থেকে স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসছে। পদ্মা নদীর বুকে জেগে ওঠা ছোট চরগুলোতে পানি উঠেছে। যদিও বা এই চরগুলোতে মানুষের বসবাস নেই। তবে গবাদী পশুর বিচরণ রয়েছে।
নৌকার সাইদুর মাঝি বলেন, গেল কয়েকদিন থেকে পদ্মায় পানি বাড়ছে। নতুন পানির সঙ্গে ভেসে আসছে কুচুরিপানা। কুচুরিপানা আসা মানে পানি বাড়া। এখন বর্ষাকাল চলছে। প্রতিদিনই পদ্মার পানি বাড়বে। পানি বাড়লে পদ্মায় জালে বিভিন্ন ধরনের মাছ হবে। মাছ ধরছে নদীর কিনারে সারি সারি খলসুন পেতেছে মৌসুমি জেলে ও স্থানীয়রা। বাচ্চাদের সেই খলসুনের পাশে ঘোরাফেরা হৈচৈ করতে দেখা যাচ্ছে।
পদ্মা পাড়ের জাহাজ ঘাট এলাকার এনামুল বলেন, বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি বাড়ে। তখন কুচুরিপানা ভেসে আসে। বছরের অন্য কোন সময় এভাবে কুচুরিপানা ভেসে আসে না। শুধুমাত্র বর্ষার শুরুতে নদীতে পানি বাড়লে উজান থাকা কুচুরিপানাগুলো ভেসে আসে। পদ্মার পানি ১৫ থেকে ১৬ সেন্টিমিটার হলে নদী ভোরে যায়।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী, রাজশাহী শহর রক্ষা শাখা, মোঃ আবু হুরায়রা বলেন, রবিবার বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর রাজশাহী সীমান্তে পানি ছিল ১১ দশমিক ৬৮ মিটার। রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ মিটার।