ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অতিথি হোটেলের ফ্রিজে পঁচা মংসা! ১০ হাজার টাকা জরিমানা ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ১ দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ স্বনির্ভর হতে সময় লাগবে না -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফেনী সাহিত্য ফোরামের আয়োজনে ভাষা সাহিত্য, সাংবািদকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ভোলায় গনঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও গণমিছিল    জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে পৈল কমিউনিটি ক্লিনিক  সভাপতি কামরান সাধারণ সম্পাদক সাহান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন পিআর পদ্ধতিতের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব: আলহাজ মাসুদ সাঈদী গৌরীপুরে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার

লালমনিরহাট জেলার চাঞ্চল্যকর পাটগ্রাম থানা ভাংচুর, পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমন, থানা লুটপাট এবং নাশকতা মামলার ০৩ জন আসামী গ্রেফতার।

লালমনিরহাট জেলার চাঞ্চল্যকর পাটগ্রাম থানা ভাংচুর, পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমন, থানা লুটপাট এবং নাশকতা মামলার ০৩ জন আসামী গ্রেফতার।

নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাব-১৩, রংপুর এর বিশেষ অভিযানে লালমনিরহাট জেলার চাঞ্চল্যকর পাটগ্রাম থানা ভাংচুর, পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমন, থানা লুটপাট এবং নাশকতা মামলার ০৩ জন আসামী গ্রেফতার।

’বাংলাদেশ আমার অহংকার’, এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৩,ব্যাটাঃসদর, রংপুর, সিপিএসসি, রংপুর এবং সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের একাধিক চৌকস আভিযানিক দল যৌথভাবে অদ্য ০৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ আনুমানিক সকাল ০৭.০০ ঘটিকায় লালমনিরহাট জেলার  পাটগ্রাম থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (লালমনিরহাট  জেলার পাটগ্রাম থানার মামলা নং-০৩, তারিখ ০৪ জুলাই ২০২৫ ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/১৮৬/৩০৭/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩ পেনাল কোড-১৮৬০) সরকারি কর্তব্য কাজে বাধাদান, আসামী ছিনিয়ে নেওয়া, সরকারি কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত এবং ভয়ভীতি হুমকির এজাহারনামীয় ০২ জন  আসামী ১। মোঃ মাইদুল ইসলাম (৩২) (এজাহারের ১০ নং আসামী), পিতা-মোঃ আজিজুল ইসলাম,  সাং-শ্রীরামপুর (বটতলা), ২। মোঃ আঃ রশিদ (৩৫) (এজাহারের ২১ নং আসামী), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-সোহাগপুর, এবং এজাহারে বর্ণিত ধৃত আসামী মাইদুল এর জবানবন্দি অনুযায়ী আসামী ৩।  আবুল কালাম (৫২) (সন্দেহভাজন), পিতা-মৃত আহতাব আলী, সাং-সোহাগপুর, সর্ব থানা-পাটগ্রাম, জেলা-লালমনিরহাটদের’কে গ্রেফতার করা হয়।
গত ০২ জুলাই ২০২৫ সময় আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব উত্তম কুমার দাস এর নেতৃত্বে মোবাইল  ডিউটিতে থাকা এসআই (নিঃ) সৈয়দ সাখাওয়াত সংগীয় ফোর্সসহ পাটগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাথর ও বালু বহনকারী বিভিন্ন পরিবহন হতে স্লীপ দিয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলেন। উক্ত এসআই (নিঃ) সৈয়দ সাখাওয়াত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব উত্তম কুমার দাস এর সহায়তায়  একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাথর ও বালুবহনকারীর চাঁদা আদায়ের জন্য দুইজন মোঃ বেলাল ও সোহেলকে আটক করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুইজনকেই ০১ (এক) মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন। আসামীদ্বয়কে ০১ (এক) মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান শেষে পাটগ্রাম থানা হাজতে  নিয়ে  যাওয়া হয়।
গত ০২ জুলাই ২০২৫ তারিখ আসামীদ্বয়কে থানা হাজতে মেইন গেটে আসার পরে বেআইনী জনতা আনুমানিক সময় ২২.৫৫ ঘটিকায় থানাসহ সকল পুলিশ সদস্যদের উপর আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার  জন্য  আক্রমন করে। একপর্যায়ে তাদেরকে বাধা প্রদান  করা হলে তারা অমান্য করে থানার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেমন-ল্যাপটপ, প্রিন্টার, আসবাপত্র, সরকারীগুরুত্বপূর্ণ ফাইল তছনছ সহ পুলিশ সদস্যদের  আঘাত করে আসামীদ্বয়কে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। থানার গাড়ি ভাংচুরসহ বেআইনী জনতা থানায় প্রবেশ করে থানার গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় ডিউটি নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি করে। তারপরও বেআইনী জনতা পুলিশ  সদস্যদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে  আসামীদ্বয়কে নিয়ে যায়। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ সহ আরো কয়েক জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

অতিথি হোটেলের ফ্রিজে পঁচা মংসা! ১০ হাজার টাকা জরিমানা

লালমনিরহাট জেলার চাঞ্চল্যকর পাটগ্রাম থানা ভাংচুর, পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমন, থানা লুটপাট এবং নাশকতা মামলার ০৩ জন আসামী গ্রেফতার।

আপডেট সময় ০৯:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাব-১৩, রংপুর এর বিশেষ অভিযানে লালমনিরহাট জেলার চাঞ্চল্যকর পাটগ্রাম থানা ভাংচুর, পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমন, থানা লুটপাট এবং নাশকতা মামলার ০৩ জন আসামী গ্রেফতার।

’বাংলাদেশ আমার অহংকার’, এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৩,ব্যাটাঃসদর, রংপুর, সিপিএসসি, রংপুর এবং সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের একাধিক চৌকস আভিযানিক দল যৌথভাবে অদ্য ০৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ আনুমানিক সকাল ০৭.০০ ঘটিকায় লালমনিরহাট জেলার  পাটগ্রাম থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (লালমনিরহাট  জেলার পাটগ্রাম থানার মামলা নং-০৩, তারিখ ০৪ জুলাই ২০২৫ ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/১৮৬/৩০৭/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩ পেনাল কোড-১৮৬০) সরকারি কর্তব্য কাজে বাধাদান, আসামী ছিনিয়ে নেওয়া, সরকারি কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত এবং ভয়ভীতি হুমকির এজাহারনামীয় ০২ জন  আসামী ১। মোঃ মাইদুল ইসলাম (৩২) (এজাহারের ১০ নং আসামী), পিতা-মোঃ আজিজুল ইসলাম,  সাং-শ্রীরামপুর (বটতলা), ২। মোঃ আঃ রশিদ (৩৫) (এজাহারের ২১ নং আসামী), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-সোহাগপুর, এবং এজাহারে বর্ণিত ধৃত আসামী মাইদুল এর জবানবন্দি অনুযায়ী আসামী ৩।  আবুল কালাম (৫২) (সন্দেহভাজন), পিতা-মৃত আহতাব আলী, সাং-সোহাগপুর, সর্ব থানা-পাটগ্রাম, জেলা-লালমনিরহাটদের’কে গ্রেফতার করা হয়।
গত ০২ জুলাই ২০২৫ সময় আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব উত্তম কুমার দাস এর নেতৃত্বে মোবাইল  ডিউটিতে থাকা এসআই (নিঃ) সৈয়দ সাখাওয়াত সংগীয় ফোর্সসহ পাটগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাথর ও বালু বহনকারী বিভিন্ন পরিবহন হতে স্লীপ দিয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলেন। উক্ত এসআই (নিঃ) সৈয়দ সাখাওয়াত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব উত্তম কুমার দাস এর সহায়তায়  একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাথর ও বালুবহনকারীর চাঁদা আদায়ের জন্য দুইজন মোঃ বেলাল ও সোহেলকে আটক করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুইজনকেই ০১ (এক) মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন। আসামীদ্বয়কে ০১ (এক) মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান শেষে পাটগ্রাম থানা হাজতে  নিয়ে  যাওয়া হয়।
গত ০২ জুলাই ২০২৫ তারিখ আসামীদ্বয়কে থানা হাজতে মেইন গেটে আসার পরে বেআইনী জনতা আনুমানিক সময় ২২.৫৫ ঘটিকায় থানাসহ সকল পুলিশ সদস্যদের উপর আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার  জন্য  আক্রমন করে। একপর্যায়ে তাদেরকে বাধা প্রদান  করা হলে তারা অমান্য করে থানার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেমন-ল্যাপটপ, প্রিন্টার, আসবাপত্র, সরকারীগুরুত্বপূর্ণ ফাইল তছনছ সহ পুলিশ সদস্যদের  আঘাত করে আসামীদ্বয়কে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। থানার গাড়ি ভাংচুরসহ বেআইনী জনতা থানায় প্রবেশ করে থানার গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় ডিউটি নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি করে। তারপরও বেআইনী জনতা পুলিশ  সদস্যদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে  আসামীদ্বয়কে নিয়ে যায়। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ সহ আরো কয়েক জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।