আশিকুর রহমান শান্ত ভোলা প্রতিনিধি
সারাদেশের গণধর্ষণ, দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, দখলদারি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গনঅধিকার পরিষদ ভোলা জেলার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকাল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাব এর সামনে থেকে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল শুরু হয়ে ভোলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদ ভোলা জেলার সাবেক সদস্য সচিব আতিকুর রহমান, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তর হাওলাদার, গণঅধিকার পরিষদ ভোলা সদর উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ, সদস্য সচিব ফিরোজ আহমেদ, লালমোহন উপজেলার আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভোলা সদর উপজেলা গনঅধিকার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন দেওয়ান, বাংলাদেশ ছাত্রঅধিকার পরিষদ ভোলা জেলার সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবর, সাধারণ সম্পাদক আরিয়ান আরমান, দপ্তর সম্পাদক রাহাদ হাসান রুমি সহ গণঅধিকার পরিষদের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বক্তব্যে বলেন, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জনসম্মুক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম। একটি বৈষম্যহীন, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে গণঅধিকার পরিষদের অসংখ্য নেতাকর্মীরা হামলা-মামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে গণঅধিকার পরিষদ ও তার অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদ ও আহত হয়েছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী জামানায় যেভাবে আমরা হামলা-মামলা- বঞ্চনার শিকার হয়েছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও তার ধারাবাহিকতা দুঃখজনক।
তারা উল্লেখ করে আরো বলেন, বরিশালে জাতীয় পার্টি (জাপা) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তীয় পার্টির এ মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এর পাশাপাশি ভোলার চরফ্যাসন উপজেলা গনঅধিকার যুবঅধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক তাহিদ হোসেন আলম এর উপর সন্ত্রাসী মূলক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।