মানুষ এখন সৎ, যোগ্য, দুর্নীতি মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত নেতৃত্ব চায়। জামায়াতে ইসলামী সেই সৎ, যোগ্য, দক্ষ, দুর্নীতি মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত নেতৃত্ব জাতিকে উপহার দিতে প্রস্তুত। জনগণ সুযোগ দিলে, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি সুখী- সমৃদ্ধ কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্রে রূপ দিবে। এমন একটি রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দেওয়া হবে যেখানে কোন দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দখলবাজ থাকবে না। কোন বৈষম্য থাকবে না।
দলমত, জাতি-গোষ্ঠী, ধর্মবর্ণের কোন বিবেদ থাকবে না। সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যা গরিষ্ঠের কোন বৈষম্য থাকবে না। মানুষ হিসেবে সকলেই দেশের সম্মানিত ও গর্বিত নাগরিক হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি মানুষ সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের ৯ম সংসদ নির্বাচন ছিল ত্রিমুখী ষড়যন্ত্রের নির্বাচন। ঐ নির্বাচনে ভারত – মঈন উদ্দিন – ফখরুদ্দিন যৌথ সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছে। পরবর্তীতে সেই প্রতিদান হিসেবে আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস সরকারের ভূমিকা পালন করে।
একই ধারাবাহিকতায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। কখনো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, কখনো দিনের ভোটে রাতে আবার কখনো ডামি নির্বাচন দিয়ে তারা সরকার গঠন করেছে। হাসিনা মার্কা কোন নির্বাচন এদেশে আবারো হলে জনগণ সেটি প্রতিহত করবে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কোন সমঝোতার নির্বাচন হলে জনগণ সেটি মেনে নিবে না। ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আর কোন নাটকীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে, এটিএম আজহারুল ইসলাম ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটিএম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
আদালতের এই রায়ে প্রমানিত হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিচারিক হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাজানো সকল অভিযোগ মিথ্যা। জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতা কিংবা একজন কর্মীও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি।
বরং আওয়ামী লীগ দলগতভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তারা শুধু জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালিয়েছে তা নয়, তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি দিন গণহত্যা চালিয়েছে।
দেশের আলেম-উলামাদের হত্যা করেছে, ছাত্রদের হত্যা করেছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষকে হত্যা করেছে। এমনকি মায়ের কোলে দুধ পান করা শিশুকেও আওয়ামী লীগ হত্যা করেছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ পালানোর পর আবারো অসৎ নেতৃত্ব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট করে জনগণকে অতিষ্ট করে তুলেছে। জনগণ এর জবাব আগামী নির্বাচনে দিবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে জনগণের প্রয়োজনে সর্বদায় জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান।