নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঢাকা-১২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।
তিনি আজ বিকাল ৫.৩০টায় রাজধানীর মধুবাগ মাঠে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত গণসংযোগ উপলক্ষ্যে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পূর্ব থানা আমীর এডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং পশ্চিম থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় পথসভায়
বিশেষ অতিথি ছিলেন, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাতিরঝিল পশ্চিম থানা নায়েবে আমীর নুরুল ইসলাম আকন্দ, হাতিরঝিল পূর্ব থানা সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমিন,পশ্চিম থানা সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আ.ওয়াদুদ সর্দার,আমিনুল ইসলাম, শিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন শিহাব প্রমূখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর বিনিময়ে আগস্ট বিপ্লবের সংগঠিত হয়েছে এবং স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী আওয়ামী বাকশালীদের পতন ঘটেছে। এতে দু’ হাজারেরও অধিক মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে।
হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গত্ব বরণ করেছেন। অনেকে হাত-পা এমনকি চোখ পর্যন্ত হারিয়েছে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও তা থেকে আলাদা ছিলো না। কোলের শিশু সন্তান নিয়ে আন্দোলনে গিয়ে অনেক মা শাহাদাত বরণ করেছেন। বিগত প্রায় ১৬ বছরে আওয়ামী রেজিমে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেনি।
কিন্তু জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের অনুসারিরা ঐতিহাসিক বিপ্লবকে বিভ্রান্ত ও নস্যাৎ করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাই অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করার জন্য সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, জনগণ উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু দেশে নির্বাচনী পরিবেশ এখনো সৃষ্টি করা যায়নি। জুলাই সনদ এখনো ঘোষিত হয়নি। হয়নি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারও। এমনকি গণহত্যাকারীদের বিচারও এখনো দৃশ্যমান নয়। তাই জুলাই সনদ, রাষ্ট্রের কাক্সিক্ষত সংস্কার ও জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান করার পরই অবিলম্বে দেশে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি জামায়াতের পক্ষে গণজোয়ারের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে এক নতুন বিপ্লবের সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। তিনি আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহবান জানান।