নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জ সদর থানাধীন এলাকা হতে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ রবিজুুল ইসলাম (৩৫)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতোমধ্যে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ১৭ জুন ২০২৫ তারিখ রাতে মানিকগঞ্জ সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ রবিজুুল ইসলাম (৩৫)’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামী একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার ও টেকনাফ সহ সীমান্তবর্তী জেলা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য ক্রয় করে ঢাকা মহানগরীসহ আন্তঃজেলায় বিক্রয় করত।
গত ১৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখ মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন এলাকা হতে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ কর্তৃক তাকে গ্রেফতার করা হয়, যার প্রেক্ষিতে একটি মাদক মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং-১৫(৪)২১, জিআর-১২৫/২১, ধারা- ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ৩৬ (১) এর ৮ (গ)।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী আরও জানায় যে, মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে উক্ত আসামী প্রায় দীর্ঘ ০৪ বছর পলাতক ছিলো। পরে আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামী বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিল। ৫।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারনামীয় আসামীকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করলে তার প্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় অধিযাচন পত্রের মাধ্যমে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আসামীকে গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।