ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক 

শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার 

শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার 

মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি : শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রাবি প্রশাসন। আপত্তিকর অবস্থায় আটকের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও অভিযুক্ত ছাত্রীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনা অধিকতর তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী বিভাগের কোনো ধরণের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের একাডেমিক সভায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
গত ১১ মে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষক এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক এবং দুই শিক্ষার্থী।
পরে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষক দাবি করেন, ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য দুজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক, একজন সাবেক সহসমন্বয়ক ও একজন ছাত্র তিন লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করে ওই ছাত্রীও একই দাবি করেন। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে সাজ্জাদ হোসেন সজীব ও সিরাজুল ইসলাম সুমন নামের দুই সাংবাদিক দাবি করেন, তারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন।
যদিও অভিযোগ ওঠার পর তারা চাকরি হারিয়েছেন। সজীব কালবেলা ও সুমন খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। দুজনকেই প্রতিষ্ঠান দুটি অব্যাহতি দিয়েছে। সুমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সহসভাপতি ও সজীব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযোগ সামনে আসার পর সংগঠন থেকেও তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
 
এদিকে ওই শিক্ষক বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে গত ২০ মে নগরের মতিহার থানায় চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেন। দুই সাংবাদিক ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- আইবিএ দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার 

আপডেট সময় ১২:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি : শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রাবি প্রশাসন। আপত্তিকর অবস্থায় আটকের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও অভিযুক্ত ছাত্রীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনা অধিকতর তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী বিভাগের কোনো ধরণের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের একাডেমিক সভায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
গত ১১ মে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষক এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক এবং দুই শিক্ষার্থী।
পরে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষক দাবি করেন, ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য দুজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক, একজন সাবেক সহসমন্বয়ক ও একজন ছাত্র তিন লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করে ওই ছাত্রীও একই দাবি করেন। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে সাজ্জাদ হোসেন সজীব ও সিরাজুল ইসলাম সুমন নামের দুই সাংবাদিক দাবি করেন, তারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন।
যদিও অভিযোগ ওঠার পর তারা চাকরি হারিয়েছেন। সজীব কালবেলা ও সুমন খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। দুজনকেই প্রতিষ্ঠান দুটি অব্যাহতি দিয়েছে। সুমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সহসভাপতি ও সজীব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযোগ সামনে আসার পর সংগঠন থেকেও তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
 
এদিকে ওই শিক্ষক বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে গত ২০ মে নগরের মতিহার থানায় চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেন। দুই সাংবাদিক ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- আইবিএ দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব।