ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এরা বনানী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী-চাঁদাবাজ ‎সাহেবের চর গ্রাম সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা। চকনিহাল জামতলা বায়তুল ফালাহ্ নবনির্মিত মসজিদের শুভ উদ্বোধন  রাণীশংকৈলে যৌতুকের টাকায় প্রাইভেট কার ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে দোকান ভাঙচুর আহত-৪  খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুবি শিক্ষককে আঙুল তুলে হুমকি, সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ তানোরে আদালতের রায় অমান্য করে প্রভাবশালীর ধান রোপন বানারীপাড়ায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে অপহৃত স্কুল ছাত্রী তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা, আহত ২৫  হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ স্বপন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ছাত্রদল নেতাসহ কয়েক যুবকের হাতে স্কুলছাত্রী অপহরণ, বানারীপাড়ায় উত্তেজনা

ছাত্রদল নেতাসহ কয়েক যুবকের হাতে স্কুলছাত্রী অপহরণ, বানারীপাড়ায় উত্তেজনা

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি- বরিশালের বানারীপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে মোটরসাইকেল থামিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের সলিয়াবাকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে তার ভাগ্নে কাওসারের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তায় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা একদল যুবক কিশোরীর গতিরোধ করে। এরপর কাওসারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয় তারা। অপহরণকারীরা তখন মোটরসাইকেলের চাবিও ছিনিয়ে নেয়।

এই ঘটনায় মূল ভূমিকা পালন করেছে, মাদারকাঠী গ্রামের যুবক সালমান খান হৃদয়। তার সঙ্গে ছিল চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদারসহ আরও কয়েকজন—শাওন, ফাহিম, ইমন প্রমুখ। কিশোরীর স্বজনেরা বাধা দিলে তাদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।  অপহৃত ছাত্রীর মা সাথী আক্তার অভিযোগ করেন, হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

তিনি এই ঘটনায় আগে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতে হাজির হয়ে হৃদয় মুচলেকা দিয়ে রেহাই পেলেও পুনরায় মেয়েকে বিরক্ত করতে থাকে। কিছুদিন আগে তার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া প্রতিবাদ জানালে তাকেও মারধর করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন সাথী আক্তার। এতে সালমান খান হৃদয়, মিরন সরদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বানারীপাড়া থানার ওসি মোঃ মোস্তফা বলেন, “মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।”  এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জনবহুল এলাকায় এমন নাটকীয় অপহরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নারী ও শিক্ষার্থী মহল। অনেকেই বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এসব অপরাধীর সাহস আরও বাড়বে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

এরা বনানী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী-চাঁদাবাজ

ছাত্রদল নেতাসহ কয়েক যুবকের হাতে স্কুলছাত্রী অপহরণ, বানারীপাড়ায় উত্তেজনা

আপডেট সময় ০৮:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি- বরিশালের বানারীপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে মোটরসাইকেল থামিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের সলিয়াবাকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে তার ভাগ্নে কাওসারের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তায় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা একদল যুবক কিশোরীর গতিরোধ করে। এরপর কাওসারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয় তারা। অপহরণকারীরা তখন মোটরসাইকেলের চাবিও ছিনিয়ে নেয়।

এই ঘটনায় মূল ভূমিকা পালন করেছে, মাদারকাঠী গ্রামের যুবক সালমান খান হৃদয়। তার সঙ্গে ছিল চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদারসহ আরও কয়েকজন—শাওন, ফাহিম, ইমন প্রমুখ। কিশোরীর স্বজনেরা বাধা দিলে তাদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।  অপহৃত ছাত্রীর মা সাথী আক্তার অভিযোগ করেন, হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

তিনি এই ঘটনায় আগে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতে হাজির হয়ে হৃদয় মুচলেকা দিয়ে রেহাই পেলেও পুনরায় মেয়েকে বিরক্ত করতে থাকে। কিছুদিন আগে তার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া প্রতিবাদ জানালে তাকেও মারধর করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন সাথী আক্তার। এতে সালমান খান হৃদয়, মিরন সরদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বানারীপাড়া থানার ওসি মোঃ মোস্তফা বলেন, “মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।”  এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জনবহুল এলাকায় এমন নাটকীয় অপহরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নারী ও শিক্ষার্থী মহল। অনেকেই বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এসব অপরাধীর সাহস আরও বাড়বে।