বরিশারের প্রাণ ডেস্ক : 
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী সুজন হত্যা মামলায় জড়িত কিশোর অপরাধীকে র্যাব-৯ ও র্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারেক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ০৬/০৪/২০২৫খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২২.৫০ ঘটিকার সময় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কিশোর অপরাধীরা মৌলভীবাজার সদর থানাধীন, মৌলভীবাজার পৌরসভার পশ্চিম পাশে মেইন রোড সংলগ্ন ভাসমান তামান্না ফুচকা ও চটপটির দোকানের পাশে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী সুজন মিয়ার চেয়ারে লাথিমারে। তখন সুজন মিয়া ও তার বন্ধুগন কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা ধারালো চাকু দিয়ে সুজন মিয়াকে উপর্যুপরি আঘাত করে বুকের বাম পাশের কলারবোনের নিচে ০১টি ও বাম কাধেঁর উপর ০১টিসহ মোট ০২টি ছিদ্রযুক্ত গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে সুজন মিয়ার বন্ধুগন ও উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে বিবাদীরা দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে সুজন মিয়াকে গুরুতর জখমী অবস্থায় মৌলভীবাাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে মৌলভীবাজার জেলার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত কিশোর অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। ৩।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-২, মৌলভীবাজার এবং র্যাব-০৭, চট্টগ্রাম এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ১৩ মে ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক বিকাল ১৬:৪০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন জামাল পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৌলভীবাজার জেলার সদর মডেল থানার মামলা নং-১৫,তারিখ-০৮/০৪/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০; এর মূলে চাঞ্চচল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলায় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত অন্যতম প্রধান কিশোর অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধী মোঃ সালমান মিয়া (১৭), পিতা- আলী হোসেন, সাং- উত্তর মুলাইম, থানা- মৌলভীবাজার সদর, জেলা- মৌলভীবাজার। ৪।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীকে মৌলভীবাজার জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উক্ত মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
