বরিশারের প্রাণ ডেস্ক : 
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ধামগড় এলাকা হতে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান মাদক (গাঁজা ৪৬ কেজি ও ফেন্সিডিল ১১৪ বোতল)সহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও মাদকের ভয়াল বিস্তার রোধকল্পে র্যাবের নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ধামগড় এলাকা হতে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান মাদক গাঁজা ৪৬ কেজি, ফেন্সিডিল ১১৪ বোতল নগদ ১১,২০০/- (এগারো হাজার দুইশত)টাকাসহ অদ্য ১১/০৫/২০২৫ ইং তারিখ সকালে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।
অদ্য ১১ মে ২০২৫ ইং তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ জানতে পারে যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ধামগড় এলাকায় কাপড় বিক্রির আড়ালে মহিলা মাদক ব্যবসায়ী ফাতেমা আক্তার ঝর্ণা (২৮) তার ভাড়া বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য মজুদ করে বিক্রয়ের উদ্দ্যেশে অবস্থান করছে।
উক্ত মাদকদ্রব্য উদ্ধারে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ধামগড় এলাকায় র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১১/০৫/২০২৫ ইং তারিখ সকালে উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে আসামিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে মাদকের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফাতেমা আক্তার ঝর্ণার দেওয়া তথ্য মতে তার ভাড়া বাসার বেড রুমের খাটের নিচে বস্তার ভিতর হতে ৪৬ কেজি গাঁজা, ১১৪ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক বিক্রির নগদ ১১,২০০/- (এগারো হাজার দুইশত) টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামি জানায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে।
উল্লেখ্য, আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় ০২ টির অধিক মাদক মামলা রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে। উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
