এছাড়া প্রায়ই পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘটছে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। সম্প্রতি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে পরপর তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনার রেশ না কাটতেই শনিবার (৩ মে) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের চৌয়ারীপাড়া গ্রামে তালুকদার বাড়িতে পাশাপাশি দুই বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
ওই বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বজলুর রহমান তালুকদারের বড় ভাই প্রয়াত আবু হোসেন তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই আজাদ তালুকদারের বাসায় এ সিরিজ ডাকাতি সংঘটিত হয়। শনিবার (৩ মে) রাত তিনটা-সাড়ে তিনটার দিকে একদল মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতদল ৫/৬ জন করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ওই দুই বাসার বিল্ডিংয়ের জানালার গ্রিল কেটে ও পরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় তারা আজাদ তালুকদার, তার স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত মনিরা বেগম ও ছেলে সাকিবের মুখ ও হাত-পা বেধে ফেলেন। আজাদ তালুকদার ও তার ছেলে সাকিবকে এসময় মারধর করা হলেও ক্যান্সার আক্রান্তের কথা শুণে ডাকাত দেখে ভয়ে পানি খেতে চাওয়া মনিরা বেগমকে ডাকাতরা পানি পান করান। ওই বাসা থেকে তারা নগদ ৬ হাজার টাকা ও দুটি দামি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
একই সময় ওই বাড়ির প্রয়াত আবু হোসেন তালুকদারের বাসায় প্রবেশ করে সশস্ত্র ডাকাতদল তার স্ত্রী বানারীপাড়ার চৌয়ারীপাড়া হাসিনা মোর্শেদ বালিকা মাধ্যমিক ও উজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ হাফিজা বেগম, তার পুত্রবধু ফারিহা ও আড়াই বছর বয়সী নাতনি মেহেরিনকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুটি স্টীলের আলমিরা ও দুটি সোকেশ ভেঙ্গে নগদ দেড় লাখ টাকা, দেড় হাজার ইউএস ডলার, ১৮ শত সৌদি রিয়াল, প্রায় ১৮ ভরি স্বর্নালঙ্কার ও ৫ টি দামি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় শিশু মেহেরিন ডাকাত দেখে কান্নাকাটি শুরু করলে মেহেরিন ও তার মা ফারিহাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এবং মুখ চেপে ধরায় অ্যাজমা আক্রান্ত বৃদ্ধা হাফিজা বেগম নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়। ফলে ভয়ে