ঢাকা , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খেলাধুলা চর্চায় যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী ভালুকায় গণপরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন কড়াইল বস্তিতে বিভিন্ন কৌশলে অবাধ মাদক ব্যবসা  মাদারগঞ্জে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মিজানুর রহমান রতনের প্রচারণা  সলঙ্গায় ব্যবসায়ীর পাওনা টাকা চাওয়ায় আদালতে মামলা  দেবীগঞ্জে চীনের উপহার হাসপাতালের দাবিতে মানববন্ধন নোয়াখালীতে বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রীর জমি দখলের অভিযোগ ০৭ মে থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে কুবি আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা মিল্লাতে কামিল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে ভিসি: শিক্ষার মানে নতুন প্রত্যয় সাংবাদিক, কবি,লেখক,সৌমিত্র দেব টিটুর মৃত্যুতে ইউকে বিডি টিভি পরিবারের শোক প্রকাশ 

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব-জামুর্কীর সন্দেশ

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব-জামুর্কীর সন্দেশ

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মিষ্টি নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে ‘চমচম’-এর নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরেক ঐতিহ্যবাহী স্বাদ-মির্জাপুরের জামুর্কীর সন্দেশ। এটি এখন শুধু মিষ্টি নয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।
ঐতিহ্য থেকে স্বীকৃতির পথচলাঃ
জানা গেছে, জামুর্কীর সন্দেশের সূচনা ব্রিটিশ আমলে, মদন মোহন সাহার হাত ধরে। পরে তাঁর পুত্র কালীদাস সাহা দুধ, চিনি, মসলা ও পাটালিগুড় দিয়ে তৈরি করেন নতুন স্বাদের সন্দেশ-যা আজও বহন করছে প্রজন্মের গৌরব। সময়ের পরিক্রমায় এই মিষ্টান্ন পরিণত হয়েছে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদে।
জিআই সনদের প্রাপ্তি ও গর্বের মুহূর্তঃ
২০২৪ সালের ১ এপ্রিল জামুর্কীর সন্দেশের জন্য আবেদন করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সেই স্বীকৃতি এসেছে। গত বুধবার বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
লোকগাথা নয়, বাস্তব বাজারও চাঙাঃ
প্রতিদিন জামুর্কী বাজারে কয়েক হাজার কেজি সন্দেশ বিক্রি হয়। দোকান রয়েছে মাত্র কয়েকটি, কিন্তু চাহিদা সারাদেশে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও স্বাদে কিন্তু একচুলও ছাড় দিই না। এখন তো দেশের বাইরেও মানুষ খোঁজ করেন আমাদের সন্দেশ।”
সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসঃ
জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁত, চমচম, আনারসের মতো জামুর্কীর সন্দেশও দেশের গর্ব। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার পথে এক বড় মাইলফলক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, যারা সন্দেশ তৈরি করেন, সরকার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছে-এটাই আমাদের সার্থকতা।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খেলাধুলা চর্চায় যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব-জামুর্কীর সন্দেশ

আপডেট সময় ০৭:৫১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মিষ্টি নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে ‘চমচম’-এর নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরেক ঐতিহ্যবাহী স্বাদ-মির্জাপুরের জামুর্কীর সন্দেশ। এটি এখন শুধু মিষ্টি নয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।
ঐতিহ্য থেকে স্বীকৃতির পথচলাঃ
জানা গেছে, জামুর্কীর সন্দেশের সূচনা ব্রিটিশ আমলে, মদন মোহন সাহার হাত ধরে। পরে তাঁর পুত্র কালীদাস সাহা দুধ, চিনি, মসলা ও পাটালিগুড় দিয়ে তৈরি করেন নতুন স্বাদের সন্দেশ-যা আজও বহন করছে প্রজন্মের গৌরব। সময়ের পরিক্রমায় এই মিষ্টান্ন পরিণত হয়েছে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদে।
জিআই সনদের প্রাপ্তি ও গর্বের মুহূর্তঃ
২০২৪ সালের ১ এপ্রিল জামুর্কীর সন্দেশের জন্য আবেদন করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সেই স্বীকৃতি এসেছে। গত বুধবার বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
লোকগাথা নয়, বাস্তব বাজারও চাঙাঃ
প্রতিদিন জামুর্কী বাজারে কয়েক হাজার কেজি সন্দেশ বিক্রি হয়। দোকান রয়েছে মাত্র কয়েকটি, কিন্তু চাহিদা সারাদেশে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও স্বাদে কিন্তু একচুলও ছাড় দিই না। এখন তো দেশের বাইরেও মানুষ খোঁজ করেন আমাদের সন্দেশ।”
সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসঃ
জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁত, চমচম, আনারসের মতো জামুর্কীর সন্দেশও দেশের গর্ব। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার পথে এক বড় মাইলফলক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, যারা সন্দেশ তৈরি করেন, সরকার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছে-এটাই আমাদের সার্থকতা।