ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অতিথি হোটেলের ফ্রিজে পঁচা মংসা! ১০ হাজার টাকা জরিমানা ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ১ দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ স্বনির্ভর হতে সময় লাগবে না -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফেনী সাহিত্য ফোরামের আয়োজনে ভাষা সাহিত্য, সাংবািদকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ভোলায় গনঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও গণমিছিল    জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে পৈল কমিউনিটি ক্লিনিক  সভাপতি কামরান সাধারণ সম্পাদক সাহান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন পিআর পদ্ধতিতের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব: আলহাজ মাসুদ সাঈদী গৌরীপুরে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার

অবশেষে ২০ দিন পর আরকান আর্মির বন্দদশা থেকে দেশে ফিরছে মুফিজ

অবশেষে ২০ দিন পর আরকান আর্মির বন্দদশা থেকে দেশে ফিরছে মুফিজ

হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে অপহৃত মুফিজুর রহমান (৩৫) অবশেষে ২০ দিন পর আরকান আর্মির বন্দিদশা থেকে পায়ে হেঁটে দেশে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে তিনি ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। মুফিজুর রহমান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ১০ এপ্রিল সীমান্ত এলাকায় নিজের বাগানে কাট কাটতে গেলে তাকে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ধরে নিয়ে যায়।
ফেরার পর মুফিজুর জানান, তারা প্রথমে আমাকে গোয়েন্দা ভেবে ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় এক পাহাড়ি ঘাঁটিতে। পরে বুঝতে পারে আমি সাধারণ লোক, তখন সুযোগ পেয়ে পালিয়ে আসি। পাহাড়, জঙ্গল পেরিয়ে কোনোভাবে দেশে ফিরেছি।
মুফিজুর বলেন, বাঁচার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওই ২০ দিন ছিল এক দুঃস্বপ্ন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মুহাম্মদ মাহবুব এলাহি বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজকে মুফিজুর রহমান দেশে ফিরে এসেছে-এমন খবর আমরা পেয়েছি। তবে কীভাবে তিনি ফিরেছেন, সে বিষয়ে এখনো নির্ভরযোগ্য তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল।
ইউএনও আরোও বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্কতা বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এসব ঘটনায় তারা আতঙ্কিত। তারা চায়, যেন সীমান্ত পাহারা আরও কড়াকড়ি করা হয় এবং স্থানীয়দের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অতিথি হোটেলের ফ্রিজে পঁচা মংসা! ১০ হাজার টাকা জরিমানা

অবশেষে ২০ দিন পর আরকান আর্মির বন্দদশা থেকে দেশে ফিরছে মুফিজ

আপডেট সময় ০১:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে অপহৃত মুফিজুর রহমান (৩৫) অবশেষে ২০ দিন পর আরকান আর্মির বন্দিদশা থেকে পায়ে হেঁটে দেশে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে তিনি ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। মুফিজুর রহমান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ১০ এপ্রিল সীমান্ত এলাকায় নিজের বাগানে কাট কাটতে গেলে তাকে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ধরে নিয়ে যায়।
ফেরার পর মুফিজুর জানান, তারা প্রথমে আমাকে গোয়েন্দা ভেবে ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় এক পাহাড়ি ঘাঁটিতে। পরে বুঝতে পারে আমি সাধারণ লোক, তখন সুযোগ পেয়ে পালিয়ে আসি। পাহাড়, জঙ্গল পেরিয়ে কোনোভাবে দেশে ফিরেছি।
মুফিজুর বলেন, বাঁচার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওই ২০ দিন ছিল এক দুঃস্বপ্ন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মুহাম্মদ মাহবুব এলাহি বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজকে মুফিজুর রহমান দেশে ফিরে এসেছে-এমন খবর আমরা পেয়েছি। তবে কীভাবে তিনি ফিরেছেন, সে বিষয়ে এখনো নির্ভরযোগ্য তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল।
ইউএনও আরোও বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্কতা বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এসব ঘটনায় তারা আতঙ্কিত। তারা চায়, যেন সীমান্ত পাহারা আরও কড়াকড়ি করা হয় এবং স্থানীয়দের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।