শহিদুল ইসলাম (ধনবাড়ী) টাঙ্গাইল
ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন মন্ত্রী, প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অবিভক্ত ময়মনসিংহ জেলার টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ধনবাড়ীর প্রখ্যাত জমিদার নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর ৯৬তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সাকিনা মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুল, সরকারি ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন, ধনবাড়ী নওয়াব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, দুপুর ২:০০ ঘটিকায় আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানটি সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন, মোতাওয়াল্লী, নওয়াব আলী খোদাবক্স ধনবাড়ী ওয়াকফ এস্টেট।
উক্ত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানটি, মনিরুল ইসলাম খান সাবেক বিভাগীয় প্রধান (ইংরেজি) আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ এর সঞ্চালনায়, নুরুল ইসলাম পাঠান এর সভাপতিত্বে,
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অত্র কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এম আজিজুর রহমান সাবেক অধ্যক্ষ আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অত্র কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য জাহিদুল ইসলাম মহব্বত, গোলাম রব্বানী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সাকিনা মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুল, একেএম হারুন উর রশিদ সহকারি প্রধান শিক্ষক সরকারি ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন, মোঃ আশরাফুল আলম প্রধান শিক্ষক ধনবাড়ী নওয়াব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আরো উপস্থিত ছিলেন, সাকিনা মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম মিল্টন, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক – কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর সম্পর্কে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী উদ্দেশ্যে বলেন,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, জমিদার, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক নেতা নওয়াব আলী চৌধুরীর মৃত্যুদিবস আজ। তিনি ১৮৬৩ সালে মাতামহ ও নাটোরের জমিদার মুহম্মদ আলী খান চৌধুরীর বাড়িতে জম্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জনাব আলী চৌধুরী ছিলেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদার। তার মাতার নাম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী।
নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় (১৯২১) উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। লর্ড হার্ডিঞ্জ কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণার সময় থেকে ১৯২০ সালের ৩ মার্চ ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন পাস হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি সাপ্তাহিক মিহির ও সুধাকর পত্রিকার সম্পাদক ও মালিক ছিলেন।
ব্রিটিশ সরকার নওয়াব আলী চৌধুরীকে ১৯০৬ সালে ‘খান বাহাদুর’, ১৯১১ সালে ‘নওয়াব’, ১৯১৮ সালে ‘সিআইই’ এবং ১৯২৪ সালে ‘নওয়াব বাহাদুর’ উপাধি প্রদান করে।
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল দার্জিলিং শহরে ‘ইডেন ক্যাসল’ নামক তার নিজস্ব বাসভবনে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান। দার্জিলিং থেকে তার মরদেহ ধনবাড়ী গ্রামে এনে সমাধিস্থ করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনায় করেন, হাফেজ হযরত মাওঃ মোঃ ইদ্রিস হোসাইন, পেশ ইমাম ও খতিব, নবাব শাহী জামে মসজিদ, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল।