ভালুকা প্রতিনিধিঃ- ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার কাঁঠালী এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ঢাকার গুলশান-২ এলাকার বাসিন্দা কে.এম. জাকির হোসেন ২০১৮ সালে কাঁঠালী মৌজার এস.এ. দাগ ২৬৮সহ বিভিন্ন দাগের মোট ৮ একর ৮৭ শতক জমি বাটারফ্লাই ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের কাছে বিক্রি করেন। কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির ভোগদখলে রয়েছে।
বুধবার সকালে স্থানীয় কামরুল ইসলাম ঢালী ওই জমির ২-৩ বিঘা অংশে খুঁটি ও বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করলে বাটারফ্লাইয়ের স্থানীয় প্রতিনিধি ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুবুল আলম দুলু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দেন। এ সময় কামরুল ঢালী ও পৌর বিএনপির অপর এক সদস্য আমান উল্লাহ তাজুলের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
পরে দুলু ও তাঁর সহযোগীরা কারখানার গেটে ফিরে আসলে সেখানে আবারও তাদের উপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায়, মাহাবুবুল আলম দুলু (৫০), সবুজ মিয়া (৫৩), আবুল কালাম (৪০) ও আশিক ফকির (৩০) আহত হন।
এ বিষয়ে মাহাবুবুল আলম দুলু ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে কাঠালী গ্রামের কামরুল ইসলাম ঢালী, আমান উল্লাহ তাজুলসহ ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুলু জানান, “বাটারফ্লাই কোম্পানির জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় কামরুল ঢালী নিজেই শনাক্তকারী ছিলেন। এখন তিনি কীভাবে সেই জমির মালিকানা দাবি করছেন? তিনি এবং আমান উল্লাহ খান মাখন পূর্বে বাটারফ্লাই কোম্পানির সাথে ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে আমান উল্লাহ তাজুল বলেন, “ঘটনার বিষয়ে থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ রয়েছে। দুলু কমিশনার আজ কেন লোকজন নিয়ে জমিতে গেলেন, সেটাও তদন্তের বিষয়।”
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”