শনিবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান থলাবিহীন ঝুড়ুর বাংলাদেশকে একটি সুখি সমৃদ্ধ দেশের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশকে উন্নয়ন ও উৎপাদনের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা সেই অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশের দিকে যেতে চাই।দেশনায়ক তারেক রহমান এই এমন বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখেন। তাই আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানে হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য এখন থেকে কাজ করতে হবে। আর এজন্যই দেশ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে স্বৈরাচারের কোন দোসরকে দেশে পুনর্বাসন হতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বের যেখানেই গিয়েছিল সেখানেই প্রবাসী নেতাকর্মীরা তাকে প্রতিহত করেছেন। দেশে আন্দোলন সংগ্রামে যারা সক্রিয় ছিলেন প্রবাসী নেতৃবৃন্দ তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাই আমাদের প্রবাসী নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনের সূর্যসন্তান। শুধুমাত্র বিদেশেই নয়, আমাদের নেতাকর্মীরা দেশে অবস্থানকালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
উপজেলার হেতিমগঞ্জ বাজারের চৌমুহনীতে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান আতার সভাপতিত্বে ফুলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. মামুনুর রশীদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসমালের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্রঋণ ও কুটির শিল্প বিষয়ক সহ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্রঋণ ও কুটির শিল্প বিষয়ক সহ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামীলীগ এদেশ থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা মুজিব, হাসিনা ও আওয়ামিলীগের নাম মুছে দিয়েছেন। এর থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে। সবাইকে ব্যাক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে থেকে দেশ গঠনে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, শহীদদের রক্তে ভেজা এই গোলাপগঞ্জে দাঁড়িয়ে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে যে, ফ্যাসিস্ট ও ফ্যাসিস্টের দোসরদের গোলাপগঞ্জে পুনর্বাসিত হতে দেয়া হবে না। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সমতা ও ভারসাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই লক্ষ্য নিয়ে সবাইজে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এমদাদ হেসেন টিপু, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, লন্ডন মহানগর বিএনপির সদস্য জিএম অপু শাহরিয়ার।
সংবর্ধনার জবাবে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক এমদাদ হেসেন টিপু বলেন, বিগত ১৭টি বছর প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরতে পারিনি। বিদেশে বসে বসে দেশের করুণ অবস্থা দেখে কেঁদেছি। খুনি হাসিনা যেখানে গিয়েছে সেখানেই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। স্বৈরাচারের পতনের পর স্বাধীন দেশে ফিরে আসার অনুভূতি ভাষা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্সিস, তামিম এহিয়া আহমেদ, গোলাম আলম সাইস্তা, ছালিক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, নজরুল ইসলাম, জামিল আহমদ চৌধুরী, বেলাল আহমদ সেলিম, গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এডভোকেট মামুন আহমদ রিপন, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক গোলাম আম্বিয়া চৌধুরী জামিল প্রমূখ।