ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদক মুক্ত বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া হবে আগামী দিনের উন্নয়নের রোল মডেল হিজলায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু। লালমনিরহাট জেলার চাঞ্চল্যকর পাটগ্রাম থানা ভাংচুর, পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমন, থানা লুটপাট এবং নাশকতা মামলার ০৩ জন আসামী গ্রেফতার। শফিপুর ফোর স্টার ফুটবল টুনামেন্ট উদ্বোধন  বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। নাবালক প্রেম ও পারিবারিক বিচ্যুতি: সমাজ-মনস্তাত্তি¡ক ও নৈতিক পর্যালোচনা বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কুবির নতুন ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ট্যুর, নিষেধাজ্ঞার বিষয় খেয়ালে ছিল না বিভাগীয় প্রধানের বিলীন ৫ হাজার একর ফসলি জমি ও নদী গুলোতে ডেজারমেশিনের তান্ডব।  নালিতাবাড়ীতে অসহায় পরিবারকে টিউবওয়েল স্থাপন করে দিলেন ইউএনও

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভুয়া তথ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভুয়া তথ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

 

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সালেংকা গ্রামের জাগির মাহমুদ মন্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে মসজিদের মালিকানা দাবি করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী।

৫ মে সোমবার মেআয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী মোসলেম উদ্দিন। তিনি জানান, জাগির মাহমুদ মন্ডলের বংশধর না হয়েও কিছু ব্যক্তি নিজেদের বংশধর পরিচয় দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বাংলাদেশ আইনে পিতার দিকের উত্তরসূরীই বৈধ বংশধর। যাঁরা মিথ্যা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁদের কেউ-ই জাগির মাহমুদের পিতৃসূত্রীয় উত্তরসূরী নন।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ দলিল অনুযায়ী ওয়াক্ফ দাতা জাগির মাহমুদ মন্ডল প্রথম মোতাওয়াল্লী ছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব পান তার স্ত্রী চিনিতন নেছা এবং পালক পুত্র কলিম উদ্দিন সরকার। এরপর ১৯৭৯ সালে আদালতের আদেশে সিরাজ হাজী পঞ্চম মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। পরে একে একে দায়িত্ব পালন করেন আমজাদ হোসেন, সোরহাব আলী ও আব্দুল আজিজ। ২০১৬ সালে কলিম উদ্দিন সরকারের মেয়ে জাহানারা বেগম মোতাওয়াল্লী দাবিতে হাইকোর্টে একটি মামলা (নং-৫৮২০) দায়ের করেন, যা ২০২৩ সালে খারিজ করে আব্দুল আজিজকেই বহাল রাখা হয়। তার মৃত্যুর পর মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পান মোসলেম উদ্দিন।

তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার দুই ছেলে লতিফ মন্ডলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে লতিফ মন্ডল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি জাগির মাহমুদের বংশধর এবং গ্রামবাসীর সম্মতিক্রমে দায়িত্বে রয়েছি। আমরা সকলে মিলে নির্বাচিত স্থানে মসজিদ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মসজিদ নির্মাণের জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম, হযরত আলী, আব্দুল লতিফ, রোজিনা আক্তার, আব্দুর বারেকসহ গ্রামের অসংখ্য মানুষ।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদক মুক্ত বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া হবে আগামী দিনের উন্নয়নের রোল মডেল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভুয়া তথ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সালেংকা গ্রামের জাগির মাহমুদ মন্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে মসজিদের মালিকানা দাবি করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী।

৫ মে সোমবার মেআয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী মোসলেম উদ্দিন। তিনি জানান, জাগির মাহমুদ মন্ডলের বংশধর না হয়েও কিছু ব্যক্তি নিজেদের বংশধর পরিচয় দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বাংলাদেশ আইনে পিতার দিকের উত্তরসূরীই বৈধ বংশধর। যাঁরা মিথ্যা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁদের কেউ-ই জাগির মাহমুদের পিতৃসূত্রীয় উত্তরসূরী নন।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ দলিল অনুযায়ী ওয়াক্ফ দাতা জাগির মাহমুদ মন্ডল প্রথম মোতাওয়াল্লী ছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব পান তার স্ত্রী চিনিতন নেছা এবং পালক পুত্র কলিম উদ্দিন সরকার। এরপর ১৯৭৯ সালে আদালতের আদেশে সিরাজ হাজী পঞ্চম মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। পরে একে একে দায়িত্ব পালন করেন আমজাদ হোসেন, সোরহাব আলী ও আব্দুল আজিজ। ২০১৬ সালে কলিম উদ্দিন সরকারের মেয়ে জাহানারা বেগম মোতাওয়াল্লী দাবিতে হাইকোর্টে একটি মামলা (নং-৫৮২০) দায়ের করেন, যা ২০২৩ সালে খারিজ করে আব্দুল আজিজকেই বহাল রাখা হয়। তার মৃত্যুর পর মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পান মোসলেম উদ্দিন।

তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার দুই ছেলে লতিফ মন্ডলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে লতিফ মন্ডল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি জাগির মাহমুদের বংশধর এবং গ্রামবাসীর সম্মতিক্রমে দায়িত্বে রয়েছি। আমরা সকলে মিলে নির্বাচিত স্থানে মসজিদ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মসজিদ নির্মাণের জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম, হযরত আলী, আব্দুল লতিফ, রোজিনা আক্তার, আব্দুর বারেকসহ গ্রামের অসংখ্য মানুষ।