ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নালিতাবাড়ীতে অসহায় পরিবারকে টিউবওয়েল স্থাপন করে দিলেন ইউএনও ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সিলেট জেলা মহিলা দলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ বেপরোয়া বাইক-বাস-ব্যাটারি চালিত বাহন, নেই শৃঙ্খলা প্রতিদিন পথে ঝরেছে ১৫ প্রাণ : সেভ দ্য রোড আগামী ৫ জুলাই সরকারি সফরে নবীনগরে আসছেন অর্থ উপদেষ্টা  ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র ৩১ দফা প্রচারপত্র বিতরন ও শো-ডাউন অনুষ্ঠিত। নালিতাবাড়ীতে অবৈধ বালু পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান: ৯ জন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, ৯টি ট্রাক জব্দ চরভদ্রাসনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি পছন্দ না হওয়ায় মশাল বিক্ষোভ মিছিল পাবনার সাঁথিয়া বাস – ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে। নিহত ৩। আহত ১০ ব্রাহ্মণপাড়ায় বৃক্ষরোপণ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে সীমান্তে বিজিবির অভিযান, অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় ট্রাক্টরসহ চালক আটক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভুয়া তথ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভুয়া তথ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

 

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সালেংকা গ্রামের জাগির মাহমুদ মন্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে মসজিদের মালিকানা দাবি করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী।

৫ মে সোমবার মেআয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী মোসলেম উদ্দিন। তিনি জানান, জাগির মাহমুদ মন্ডলের বংশধর না হয়েও কিছু ব্যক্তি নিজেদের বংশধর পরিচয় দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বাংলাদেশ আইনে পিতার দিকের উত্তরসূরীই বৈধ বংশধর। যাঁরা মিথ্যা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁদের কেউ-ই জাগির মাহমুদের পিতৃসূত্রীয় উত্তরসূরী নন।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ দলিল অনুযায়ী ওয়াক্ফ দাতা জাগির মাহমুদ মন্ডল প্রথম মোতাওয়াল্লী ছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব পান তার স্ত্রী চিনিতন নেছা এবং পালক পুত্র কলিম উদ্দিন সরকার। এরপর ১৯৭৯ সালে আদালতের আদেশে সিরাজ হাজী পঞ্চম মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। পরে একে একে দায়িত্ব পালন করেন আমজাদ হোসেন, সোরহাব আলী ও আব্দুল আজিজ। ২০১৬ সালে কলিম উদ্দিন সরকারের মেয়ে জাহানারা বেগম মোতাওয়াল্লী দাবিতে হাইকোর্টে একটি মামলা (নং-৫৮২০) দায়ের করেন, যা ২০২৩ সালে খারিজ করে আব্দুল আজিজকেই বহাল রাখা হয়। তার মৃত্যুর পর মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পান মোসলেম উদ্দিন।

তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার দুই ছেলে লতিফ মন্ডলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে লতিফ মন্ডল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি জাগির মাহমুদের বংশধর এবং গ্রামবাসীর সম্মতিক্রমে দায়িত্বে রয়েছি। আমরা সকলে মিলে নির্বাচিত স্থানে মসজিদ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মসজিদ নির্মাণের জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম, হযরত আলী, আব্দুল লতিফ, রোজিনা আক্তার, আব্দুর বারেকসহ গ্রামের অসংখ্য মানুষ।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নালিতাবাড়ীতে অসহায় পরিবারকে টিউবওয়েল স্থাপন করে দিলেন ইউএনও

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভুয়া তথ্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সালেংকা গ্রামের জাগির মাহমুদ মন্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে মসজিদের মালিকানা দাবি করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী।

৫ মে সোমবার মেআয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী মোসলেম উদ্দিন। তিনি জানান, জাগির মাহমুদ মন্ডলের বংশধর না হয়েও কিছু ব্যক্তি নিজেদের বংশধর পরিচয় দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বাংলাদেশ আইনে পিতার দিকের উত্তরসূরীই বৈধ বংশধর। যাঁরা মিথ্যা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁদের কেউ-ই জাগির মাহমুদের পিতৃসূত্রীয় উত্তরসূরী নন।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ দলিল অনুযায়ী ওয়াক্ফ দাতা জাগির মাহমুদ মন্ডল প্রথম মোতাওয়াল্লী ছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব পান তার স্ত্রী চিনিতন নেছা এবং পালক পুত্র কলিম উদ্দিন সরকার। এরপর ১৯৭৯ সালে আদালতের আদেশে সিরাজ হাজী পঞ্চম মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। পরে একে একে দায়িত্ব পালন করেন আমজাদ হোসেন, সোরহাব আলী ও আব্দুল আজিজ। ২০১৬ সালে কলিম উদ্দিন সরকারের মেয়ে জাহানারা বেগম মোতাওয়াল্লী দাবিতে হাইকোর্টে একটি মামলা (নং-৫৮২০) দায়ের করেন, যা ২০২৩ সালে খারিজ করে আব্দুল আজিজকেই বহাল রাখা হয়। তার মৃত্যুর পর মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পান মোসলেম উদ্দিন।

তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার দুই ছেলে লতিফ মন্ডলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে লতিফ মন্ডল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি জাগির মাহমুদের বংশধর এবং গ্রামবাসীর সম্মতিক্রমে দায়িত্বে রয়েছি। আমরা সকলে মিলে নির্বাচিত স্থানে মসজিদ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মসজিদ নির্মাণের জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম, হযরত আলী, আব্দুল লতিফ, রোজিনা আক্তার, আব্দুর বারেকসহ গ্রামের অসংখ্য মানুষ।