ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক 

বিলীন ৫ হাজার একর ফসলি জমি ও নদী গুলোতে ডেজারমেশিনের তান্ডব। 

বিলীন ৫ হাজার একর ফসলি জমি ও নদী গুলোতে ডেজারমেশিনের তান্ডব। 

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 

গত দুই সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙ্গনে ৫ হাজারেও বেশি ফসল সহ জমি বিলুপ্ত হয়ে গেছে হরিরামপুর উপজেলার, এছাড়াও বিভিন্ন দোকান রাস্তা ও বিলিন। দৌলতপুর উপজেলার প্রায় তিন একর জায়গায় নদী ভাঙ্গনে। এছাড়াও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ভাঙতে আছে। এবং ভাঙনের মুখে রয়েছে শত শত বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি।

বেউথা আন্ধার মানিক নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা এক ঝাঁক তরুণ উদ্যোক্তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পানিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অথচ এদের পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই। না আছে সরকারিভাবে ভাঙ্গন রোধের কোন ব্যবস্থা।

এতো নদী ভাঙ্গনের মূল কারণ হলো ডেজার মেশিন দিয়ে শুকনো ও বর্ষা মাসে অবৈধ মাটি কাঁটার ফলে। বর্তমানে বর্ষা মাস আসলে পরে দেখা যায়, নদীর মাঝে অবৈধ ডেজার মেশিন চলমান। রাত দিন মাটি কাঁটার উৎসব হয় আর রাত গভীর হলে সেই মাঝ নদীতে বসে নেশার জলসা। গোপনে সরজমিন ঘুরে জানা গেলো আওয়ামী লীগের সময় এক দল মাটি কাঁটাতো নদীতে ডেজার মেশিন বসিয়ে আর বর্তমানে বিএনপির নেতা কর্মী মাটি কাঁটচ্ছে রাত দিন। মাটি ইজারা দেওয়ার নামে নদীতে অবৈধ ডেজার মেশিন বসানোর সুজগ করে দেয় প্রশাসন।

গত দুই সপ্তাহে দৌলতপুর ও হরিরামপুর এলাকায় কিছু ডেজার মেশিন লোকজনের কারণে নদীতে বসতে দেয় নাই আর কিছু সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কাছের মানুষ জন নদীতে ডেজার মেশিন পরিচালনা করে।

বর্তমানে মানিকগঞ্জ ৭ থানায় স্থানীয় প্রভাব শালী লোকজন তাদের এলাকার নদীতে ডেজার মেশিন বসিয়ে মাটি বানিজ্য করছে। প্রশাসন ও সাংবাদিক দের জানা থাকলেও তার কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনা। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে বিভিন্ন ভাবে ডেজার মেশিন জব্দ করলেও পড়ে আবার আগের রুপে ফিরে আসে।

নদীর পাড়ে কিছু লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, শুকনো মাসের চাইতে বর্ষা মাসে অবৈধ ডেজার মেশিন বেশি চলে এলাকার উঁচু মানুষ এই মাটি কাঁটে। ভূমি অফিসে, প্রশাসনের লোকজন এবং সাংবাদিক আসলেও কিছু টাকা দিয়ে সব ঠিক করে। মানিকগঞ্জে ৭ থানায় প্রায় ২০ টি ডেজার মেশিন চলমান। সবচেয়ে বড় কথা হলো এলাকার মানুষ রাজনৈতিক লোকজনের ভয়ে এবং সঠিক বিচার না পাওয়ার কারণে কিছু বলতে পারে না। মানিকগঞ্জ জেলা সদর থানার ডেজার মেশিন নিয়ে ছোট একটা উদাহরণ।

মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে ধলেশ্বরী নদী দুরত্ব ৪’৫ কি মি আর ভূমি অফিসে দুরত্ব মাত্র ১’৫ কি মি কম সেখানে গত দুই মাস ধরে  দুটি ডেজার মেশিন চলমান অথচ সাংবাদিক, প্রশাসন, ভূমি অফিসে লোকজন কিছু বলতে পারেনা। বলবে কি ভাবে তাদের পকেটে টাকা ঠুকিয়ে দিয়ে আছে। কথা টা জাগীর ইউনিয়ন নিয়ে বলা, যদি ও এখানে নদীর পানি এখনো প্রবেশ করে নাই।

জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেনে তোপা, সাইফুল ইসলাম (পেশায় একজন ইয়েবা ব্যবসায়ি, বহু বার জেলে কাটিয়ে এখনো মামলায় অভিযুক্ত) শাহিন চৌধুরী (শিষ্য সন্ত্রাসী মাডার মামলার আসামি) আরজু (ইয়ে বার ডিলার)  এবং (আওয়ামী লীগের খুব কাছের আত্মীয়) এরা দৈর্ঘ্য দিন ধরে চর মকিমপুর গাড়াকুল, এলাকায় ডেজার মেশিন বসিয়ে মাটি বানিজ্য করছে। অনেক কৃষক তার জমি হারিয়েছে। কেউ কিছু বলতে পারেনা উপরের লোকের ভয়ে। প্রশাসন, ভূমি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এগুলো সঠিক সমাধান করবে এই আশা সাধারণ মানুষের।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বিলীন ৫ হাজার একর ফসলি জমি ও নদী গুলোতে ডেজারমেশিনের তান্ডব। 

আপডেট সময় ০৫:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 

গত দুই সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙ্গনে ৫ হাজারেও বেশি ফসল সহ জমি বিলুপ্ত হয়ে গেছে হরিরামপুর উপজেলার, এছাড়াও বিভিন্ন দোকান রাস্তা ও বিলিন। দৌলতপুর উপজেলার প্রায় তিন একর জায়গায় নদী ভাঙ্গনে। এছাড়াও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ভাঙতে আছে। এবং ভাঙনের মুখে রয়েছে শত শত বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি।

বেউথা আন্ধার মানিক নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা এক ঝাঁক তরুণ উদ্যোক্তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পানিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অথচ এদের পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই। না আছে সরকারিভাবে ভাঙ্গন রোধের কোন ব্যবস্থা।

এতো নদী ভাঙ্গনের মূল কারণ হলো ডেজার মেশিন দিয়ে শুকনো ও বর্ষা মাসে অবৈধ মাটি কাঁটার ফলে। বর্তমানে বর্ষা মাস আসলে পরে দেখা যায়, নদীর মাঝে অবৈধ ডেজার মেশিন চলমান। রাত দিন মাটি কাঁটার উৎসব হয় আর রাত গভীর হলে সেই মাঝ নদীতে বসে নেশার জলসা। গোপনে সরজমিন ঘুরে জানা গেলো আওয়ামী লীগের সময় এক দল মাটি কাঁটাতো নদীতে ডেজার মেশিন বসিয়ে আর বর্তমানে বিএনপির নেতা কর্মী মাটি কাঁটচ্ছে রাত দিন। মাটি ইজারা দেওয়ার নামে নদীতে অবৈধ ডেজার মেশিন বসানোর সুজগ করে দেয় প্রশাসন।

গত দুই সপ্তাহে দৌলতপুর ও হরিরামপুর এলাকায় কিছু ডেজার মেশিন লোকজনের কারণে নদীতে বসতে দেয় নাই আর কিছু সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কাছের মানুষ জন নদীতে ডেজার মেশিন পরিচালনা করে।

বর্তমানে মানিকগঞ্জ ৭ থানায় স্থানীয় প্রভাব শালী লোকজন তাদের এলাকার নদীতে ডেজার মেশিন বসিয়ে মাটি বানিজ্য করছে। প্রশাসন ও সাংবাদিক দের জানা থাকলেও তার কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনা। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে বিভিন্ন ভাবে ডেজার মেশিন জব্দ করলেও পড়ে আবার আগের রুপে ফিরে আসে।

নদীর পাড়ে কিছু লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, শুকনো মাসের চাইতে বর্ষা মাসে অবৈধ ডেজার মেশিন বেশি চলে এলাকার উঁচু মানুষ এই মাটি কাঁটে। ভূমি অফিসে, প্রশাসনের লোকজন এবং সাংবাদিক আসলেও কিছু টাকা দিয়ে সব ঠিক করে। মানিকগঞ্জে ৭ থানায় প্রায় ২০ টি ডেজার মেশিন চলমান। সবচেয়ে বড় কথা হলো এলাকার মানুষ রাজনৈতিক লোকজনের ভয়ে এবং সঠিক বিচার না পাওয়ার কারণে কিছু বলতে পারে না। মানিকগঞ্জ জেলা সদর থানার ডেজার মেশিন নিয়ে ছোট একটা উদাহরণ।

মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে ধলেশ্বরী নদী দুরত্ব ৪’৫ কি মি আর ভূমি অফিসে দুরত্ব মাত্র ১’৫ কি মি কম সেখানে গত দুই মাস ধরে  দুটি ডেজার মেশিন চলমান অথচ সাংবাদিক, প্রশাসন, ভূমি অফিসে লোকজন কিছু বলতে পারেনা। বলবে কি ভাবে তাদের পকেটে টাকা ঠুকিয়ে দিয়ে আছে। কথা টা জাগীর ইউনিয়ন নিয়ে বলা, যদি ও এখানে নদীর পানি এখনো প্রবেশ করে নাই।

জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেনে তোপা, সাইফুল ইসলাম (পেশায় একজন ইয়েবা ব্যবসায়ি, বহু বার জেলে কাটিয়ে এখনো মামলায় অভিযুক্ত) শাহিন চৌধুরী (শিষ্য সন্ত্রাসী মাডার মামলার আসামি) আরজু (ইয়ে বার ডিলার)  এবং (আওয়ামী লীগের খুব কাছের আত্মীয়) এরা দৈর্ঘ্য দিন ধরে চর মকিমপুর গাড়াকুল, এলাকায় ডেজার মেশিন বসিয়ে মাটি বানিজ্য করছে। অনেক কৃষক তার জমি হারিয়েছে। কেউ কিছু বলতে পারেনা উপরের লোকের ভয়ে। প্রশাসন, ভূমি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এগুলো সঠিক সমাধান করবে এই আশা সাধারণ মানুষের।