ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অমুসলিমদের সংগঠনের দাওয়াত দেওয়া জামায়াতে ইসলামীর নিয়মিত কর্মসূচি – মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে আ’লীগ কর্মীসহ গ্রেফতার -২৩ ধর্ষণের আসামি বাপ্পী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। দেবীগঞ্জে যুবলীগের সহ সভাপতি গ্রেফতার উল্লাপাড়ার সমাজ উন্নয়ন যুব কল্যান সংস্থা এর উদ্যোগ সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ বহুল প্রতীক্ষিত রাস্তা সংস্কার করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি। গৌরীপুরে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস যুবদল নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের আসামীদের বহিস্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত  পাবনার ফরিদপুর ডেমরা বাউল শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিমানবন্দরে ভীড় না করার আহবান সিলেট বিভাগ বিএনপির

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব-জামুর্কীর সন্দেশ

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব-জামুর্কীর সন্দেশ

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মিষ্টি নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে ‘চমচম’-এর নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরেক ঐতিহ্যবাহী স্বাদ-মির্জাপুরের জামুর্কীর সন্দেশ। এটি এখন শুধু মিষ্টি নয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।
ঐতিহ্য থেকে স্বীকৃতির পথচলাঃ
জানা গেছে, জামুর্কীর সন্দেশের সূচনা ব্রিটিশ আমলে, মদন মোহন সাহার হাত ধরে। পরে তাঁর পুত্র কালীদাস সাহা দুধ, চিনি, মসলা ও পাটালিগুড় দিয়ে তৈরি করেন নতুন স্বাদের সন্দেশ-যা আজও বহন করছে প্রজন্মের গৌরব। সময়ের পরিক্রমায় এই মিষ্টান্ন পরিণত হয়েছে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদে।
জিআই সনদের প্রাপ্তি ও গর্বের মুহূর্তঃ
২০২৪ সালের ১ এপ্রিল জামুর্কীর সন্দেশের জন্য আবেদন করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সেই স্বীকৃতি এসেছে। গত বুধবার বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
লোকগাথা নয়, বাস্তব বাজারও চাঙাঃ
প্রতিদিন জামুর্কী বাজারে কয়েক হাজার কেজি সন্দেশ বিক্রি হয়। দোকান রয়েছে মাত্র কয়েকটি, কিন্তু চাহিদা সারাদেশে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও স্বাদে কিন্তু একচুলও ছাড় দিই না। এখন তো দেশের বাইরেও মানুষ খোঁজ করেন আমাদের সন্দেশ।”
সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসঃ
জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁত, চমচম, আনারসের মতো জামুর্কীর সন্দেশও দেশের গর্ব। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার পথে এক বড় মাইলফলক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, যারা সন্দেশ তৈরি করেন, সরকার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছে-এটাই আমাদের সার্থকতা।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অমুসলিমদের সংগঠনের দাওয়াত দেওয়া জামায়াতে ইসলামীর নিয়মিত কর্মসূচি – মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব-জামুর্কীর সন্দেশ

আপডেট সময় ০৭:৫১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মিষ্টি নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে ‘চমচম’-এর নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরেক ঐতিহ্যবাহী স্বাদ-মির্জাপুরের জামুর্কীর সন্দেশ। এটি এখন শুধু মিষ্টি নয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।
ঐতিহ্য থেকে স্বীকৃতির পথচলাঃ
জানা গেছে, জামুর্কীর সন্দেশের সূচনা ব্রিটিশ আমলে, মদন মোহন সাহার হাত ধরে। পরে তাঁর পুত্র কালীদাস সাহা দুধ, চিনি, মসলা ও পাটালিগুড় দিয়ে তৈরি করেন নতুন স্বাদের সন্দেশ-যা আজও বহন করছে প্রজন্মের গৌরব। সময়ের পরিক্রমায় এই মিষ্টান্ন পরিণত হয়েছে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদে।
জিআই সনদের প্রাপ্তি ও গর্বের মুহূর্তঃ
২০২৪ সালের ১ এপ্রিল জামুর্কীর সন্দেশের জন্য আবেদন করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সেই স্বীকৃতি এসেছে। গত বুধবার বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
লোকগাথা নয়, বাস্তব বাজারও চাঙাঃ
প্রতিদিন জামুর্কী বাজারে কয়েক হাজার কেজি সন্দেশ বিক্রি হয়। দোকান রয়েছে মাত্র কয়েকটি, কিন্তু চাহিদা সারাদেশে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও স্বাদে কিন্তু একচুলও ছাড় দিই না। এখন তো দেশের বাইরেও মানুষ খোঁজ করেন আমাদের সন্দেশ।”
সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসঃ
জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁত, চমচম, আনারসের মতো জামুর্কীর সন্দেশও দেশের গর্ব। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার পথে এক বড় মাইলফলক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, যারা সন্দেশ তৈরি করেন, সরকার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছে-এটাই আমাদের সার্থকতা।