ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে ‘হারপি’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত অতীতের মতো বস্তাপঁচা নির্বাচন মেনে নেবে না জামায়াত বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  কাজিহাল ইউনিয়নে টিসিবি’র পণ্য বিতরনের উদ্বোধন মধ্যপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ীঘর ভাংচুর প্রতিপক্ষের হামলায় নারী পুরুষসহ ৬ ব্যক্তি আহত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন উল্লাপাড়ায় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে সর্বোচ্চ হারাচ্ছে হাজারো পরিবার।  কুড়িগ্রামের উলিপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ। রাজশাহীতে নাবিল গ্রুপকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি- বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিঃ এর আউট সোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে খনির প্রধান গেটে সংবাদ সম্মেলন করেন।

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আউট সোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলণ করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলেম।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ কয়লা খনি এবং কেপিআই এলাকা। ধাপে ধাপে কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় মাষ্টরোল, ক্যাজুয়েল হিসেবে কিছু শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করেন ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এই শ্রমিকগুলোকে কয়েক বছর পর স্থায়ী নিয়োগের কথা দেওয়া হয়েছিল খনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।

কিন্তু স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে আমাদেরকে বেতনভাতা দেওয়া শুরু করে। ১৯৯৯ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই খাতে জনবলের মোট সংখ্যা ২৭৬ জন, এর মাঝে ২০০৮ ইং সালে কর্মচারী নিযোগ করা হলে ২০০৯ সালে আবার কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হলেও ২০০৯- ২০২৫ইং সাল পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ প্রদান করা হয় নি। ১৬ বছর স্টাফ নিয়োগ হয় নি।

কর্মকর্তা চার বার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান খনিতে ১৫৪ জন আর স্টাফ মাত্র ২২ জন। উল্লেখ করা ছিল ২৬৭৪ জন জনবল কাজ করবে এই খনিতে। ২০১৬ সালে কিছু কর্মকর্তা মোনগড়া নীতিমালা তৈরি করে ২৬৭৪ জনের পরিবর্তে ৯১২ জন করেন। তাদের প্রমোশন ও সুবিধা ভোগ করছে। খনিটি লাভজন প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।

তারা খনির সব সুবিধা ভোগ করছে এবং তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আর ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে ২০ বছর ধরে ঘানি টানছে। তাদের অনেকে জমিজমা এই খনিতে চলে যায়। তাদের কারও চাকুরী এখানে হয় নি। জ্বালানী মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী স্থায়ী করণের জন্য ডিও লেটার দেওয়া হয় এবং মহামান্য হাই কোর্টের রায় আনার পরেও ২৭৬ জন শ্রমিকদের কে স্থায়ী নিয়োগ দিচ্ছে না খনি কর্তৃপক্ষ।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে এই খনিতে ২০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। তবুও আমাদের প্রতি খনি কর্তৃপক্ষ নেক দৃষ্টি দিচ্ছে না। আগামীতে আমাদের দাবী মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার সাংবাদিককে বলেন, নিয়োগের বিষয়ে কিছু সরকারি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে ‘হারপি’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ১১:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি- বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিঃ এর আউট সোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে খনির প্রধান গেটে সংবাদ সম্মেলন করেন।

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আউট সোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলণ করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলেম।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ কয়লা খনি এবং কেপিআই এলাকা। ধাপে ধাপে কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় মাষ্টরোল, ক্যাজুয়েল হিসেবে কিছু শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করেন ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এই শ্রমিকগুলোকে কয়েক বছর পর স্থায়ী নিয়োগের কথা দেওয়া হয়েছিল খনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।

কিন্তু স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে আমাদেরকে বেতনভাতা দেওয়া শুরু করে। ১৯৯৯ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই খাতে জনবলের মোট সংখ্যা ২৭৬ জন, এর মাঝে ২০০৮ ইং সালে কর্মচারী নিযোগ করা হলে ২০০৯ সালে আবার কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হলেও ২০০৯- ২০২৫ইং সাল পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ প্রদান করা হয় নি। ১৬ বছর স্টাফ নিয়োগ হয় নি।

কর্মকর্তা চার বার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান খনিতে ১৫৪ জন আর স্টাফ মাত্র ২২ জন। উল্লেখ করা ছিল ২৬৭৪ জন জনবল কাজ করবে এই খনিতে। ২০১৬ সালে কিছু কর্মকর্তা মোনগড়া নীতিমালা তৈরি করে ২৬৭৪ জনের পরিবর্তে ৯১২ জন করেন। তাদের প্রমোশন ও সুবিধা ভোগ করছে। খনিটি লাভজন প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।

তারা খনির সব সুবিধা ভোগ করছে এবং তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আর ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে ২০ বছর ধরে ঘানি টানছে। তাদের অনেকে জমিজমা এই খনিতে চলে যায়। তাদের কারও চাকুরী এখানে হয় নি। জ্বালানী মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী স্থায়ী করণের জন্য ডিও লেটার দেওয়া হয় এবং মহামান্য হাই কোর্টের রায় আনার পরেও ২৭৬ জন শ্রমিকদের কে স্থায়ী নিয়োগ দিচ্ছে না খনি কর্তৃপক্ষ।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে এই খনিতে ২০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। তবুও আমাদের প্রতি খনি কর্তৃপক্ষ নেক দৃষ্টি দিচ্ছে না। আগামীতে আমাদের দাবী মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার সাংবাদিককে বলেন, নিয়োগের বিষয়ে কিছু সরকারি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।