ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পরিবেশ রক্ষায় কালীগঞ্জ কল্যাণ সংস্থার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি      বোয়ালখালীতে গণ অভ্যুত্থানে বীর শহীদের স্মরণে দোয়া মাহফিল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, চিকিৎসক, পেশাজীবি সংগঠনের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে মানববন্ধন। জিয়াকে কটাক্ষ ও সারা‌দে‌শে আইন শৃঙ্খলার অবন‌তির প্রতিবা‌দে ভোলায় যুবদলের বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল। শোকের নীরবতা ছুঁয়ে গেল কালীগঞ্জ ‘জুলাই অনির্বাণ’ প্রদর্শনীতে অশ্রু জয় করলো হৃদয় জুলাই বিপ্লব আমাদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে শিখিয়েছে-ইআবি ভিসি বুড়িচংয়ে শহীদদের স্মরণে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার দেবিদ্বারে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে হত্যা আজকের এই দিনে কোঠা বিরোধিদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীতে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা মাদক ব্যবসায়ী ২জন বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার। 

চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ, ৩২ নম্বরের পরিণত হবে গোপালগঞ্জ

 

এম মনির চৌধুরী রানা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে সড়কে যানবাহন চলাচলে তারা কোনো বাধা দেননি। সমাবেশ থেকে গোপালগঞ্জের পরিণতি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এনসিপি নেতারা।

 

গতকার বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে জমায়েত বড় হতে থাকে। এনসিপির কর্মসূচিতে যোগ দেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও। এ সময় ‘মুজিববাদ-মুর্দাবাদ, মুজিববাদের ঠিকানা-এই বাংলায় হবে না, সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’এমন আরও নানা স্লোগানে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।

 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলা করেছে, এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে। আমরা দেখেছি, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতোই গোপালগঞ্জের অবস্থা হবে।

 

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে সেটা এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর নয়, জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। ইন্টেরিম পুরোপুরি ব্যর্থ এটা প্রমাণ হয়েছে। তারা খুনিদের বিচার না করার কারণে আজ আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা, আওয়ামী স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া বাচ্চারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

 

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত আছেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ।দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নেওয়ার আগে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

 

বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মুখে নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিবেশ রক্ষায় কালীগঞ্জ কল্যাণ সংস্থার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি     

চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ, ৩২ নম্বরের পরিণত হবে গোপালগঞ্জ

আপডেট সময় ০২:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

এম মনির চৌধুরী রানা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে সড়কে যানবাহন চলাচলে তারা কোনো বাধা দেননি। সমাবেশ থেকে গোপালগঞ্জের পরিণতি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এনসিপি নেতারা।

 

গতকার বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে জমায়েত বড় হতে থাকে। এনসিপির কর্মসূচিতে যোগ দেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও। এ সময় ‘মুজিববাদ-মুর্দাবাদ, মুজিববাদের ঠিকানা-এই বাংলায় হবে না, সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’এমন আরও নানা স্লোগানে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।

 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলা করেছে, এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে। আমরা দেখেছি, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতোই গোপালগঞ্জের অবস্থা হবে।

 

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে সেটা এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর নয়, জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। ইন্টেরিম পুরোপুরি ব্যর্থ এটা প্রমাণ হয়েছে। তারা খুনিদের বিচার না করার কারণে আজ আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা, আওয়ামী স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া বাচ্চারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

 

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত আছেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ।দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নেওয়ার আগে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

 

বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মুখে নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।