ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় নিরাপদ সড়ক ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে লক্ষ্যে মানববন্ধন ও র‌্যালি ভারতের পানিতে ডুবতে বসেছে কুমিল্লার ৪ লাখ মানুষ, ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত বাংলাদেশ ড্রাইভিং স্কুল মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠিত বাকৃবিতে পিআরএস অর্জনের কৌশল ও সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিদেশ ইটালি পাঠানোর নামে ১৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নেয়ার অভিযোগ  জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকে দেওয়া হলো ওএমএস ডিলার। বন্যার কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কামালের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুলতানের অভিযোগ দায়ের বাউফলে টানা বর্ষণে ফসলের ব্যপক খয়ক্ষতি, দুঃশ্চিন্তায় কৃষক।  বন্দরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী আলমগীর ও হাফিজ প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, দোষীর দৃষ্টান্তমূসিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি লক শাস্তি দাবি

মোঃ মাসুদ রেজা, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৭ টার দিকে সলঙ্গার চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সলঙ্গা ইউনিয়নের পুরনা বেড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান খন্দকার (৭০) ও তার ছেলে জুয়েল খন্দকার (৩৫)। আহত হয়েছেন মান্নানের বড় ছেলে রাসেল খন্দকার (৪০)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, আব্দুল মান্নান খন্দকার তার দুই ছেলেকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে সলঙ্গা থেকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হাটিকুমরুলগামী দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। আহত রাসেলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতের আত্মীয় মো. সাইফুল খন্দকার বলেন, আমার চাচা মান্নান খন্দকার নিয়মিত অসুস্থ থাকতেন, সেই কারণে তার ছেলেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। কে জানতো, এই যাত্রাই তাদের শেষ যাত্রা হবে! আমরা এই ঘটনায় কঠোর বিচার চাই। এমন দ্রুতগতির ট্রাক চলাচল বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষ এভাবেই মরবে।

আহত রাসেল খন্দকার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কষ্ট করে বলেন, সব শেষ হয়ে গেল। বাবা-ভাইকে চোখের সামনে হারালাম। ট্রাকটা অনেক জোরে আসছিল। আমাদের কোনো দোষ ছিল না। আমি শুধু চাই, এমন ঘটনার বিচার হোক। যেন অন্য কেউ এভাবে না হারায় প্রিয়জন।

স্থানীয়রা জানান, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে অধিকাংশ সময়ই যানবাহন বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি খুবই কম। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

চড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই দেখি এই এলাকায় গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এর আগেও। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেই। এই ঘটনার পর প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় নিরাপদ সড়ক ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে লক্ষ্যে মানববন্ধন ও র‌্যালি

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

আপডেট সময় ০৫:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

মোঃ মাসুদ রেজা, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৭ টার দিকে সলঙ্গার চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সলঙ্গা ইউনিয়নের পুরনা বেড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান খন্দকার (৭০) ও তার ছেলে জুয়েল খন্দকার (৩৫)। আহত হয়েছেন মান্নানের বড় ছেলে রাসেল খন্দকার (৪০)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, আব্দুল মান্নান খন্দকার তার দুই ছেলেকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে সলঙ্গা থেকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হাটিকুমরুলগামী দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। আহত রাসেলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতের আত্মীয় মো. সাইফুল খন্দকার বলেন, আমার চাচা মান্নান খন্দকার নিয়মিত অসুস্থ থাকতেন, সেই কারণে তার ছেলেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। কে জানতো, এই যাত্রাই তাদের শেষ যাত্রা হবে! আমরা এই ঘটনায় কঠোর বিচার চাই। এমন দ্রুতগতির ট্রাক চলাচল বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষ এভাবেই মরবে।

আহত রাসেল খন্দকার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কষ্ট করে বলেন, সব শেষ হয়ে গেল। বাবা-ভাইকে চোখের সামনে হারালাম। ট্রাকটা অনেক জোরে আসছিল। আমাদের কোনো দোষ ছিল না। আমি শুধু চাই, এমন ঘটনার বিচার হোক। যেন অন্য কেউ এভাবে না হারায় প্রিয়জন।

স্থানীয়রা জানান, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে অধিকাংশ সময়ই যানবাহন বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি খুবই কম। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

চড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই দেখি এই এলাকায় গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এর আগেও। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেই। এই ঘটনার পর প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।