ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় নিরাপদ সড়ক ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে লক্ষ্যে মানববন্ধন ও র‌্যালি ভারতের পানিতে ডুবতে বসেছে কুমিল্লার ৪ লাখ মানুষ, ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত বাংলাদেশ ড্রাইভিং স্কুল মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠিত বাকৃবিতে পিআরএস অর্জনের কৌশল ও সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিদেশ ইটালি পাঠানোর নামে ১৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নেয়ার অভিযোগ  জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকে দেওয়া হলো ওএমএস ডিলার। বন্যার কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কামালের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুলতানের অভিযোগ দায়ের বাউফলে টানা বর্ষণে ফসলের ব্যপক খয়ক্ষতি, দুঃশ্চিন্তায় কৃষক।  বন্দরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী আলমগীর ও হাফিজ প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ

বন্দরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী আলমগীর ও হাফিজ প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ

বন্দরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী আলমগীর ও হাফিজ প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার : বন্দর উপজেলায় ভ্যান দিয়ে সবজি বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রবিউল আউয়াল সাজুকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারধর ও ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে আহত করেছে একই উপজেলার মাকদাসক্ত সন্ত্রাসী আলমগীর ও বখাটে হাফিজসহ সন্ত্রাসী বাহিনী। এই ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মায়াপুর গ্রামে গত ১৪ জুন রাত ৮টার সময় আসামীদের বাড়ীর উঠানে পূর্বের ঝগড়ার বিষয় নিয়ে দরবার সালিশ হয়। এই সময় আসামীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি করে গ্রাম্য মাতবরদের নিয়ে কটাক্ষ করে বেয়াদবি শুরু করে।

ঐ সময় উক্ত সালিশে রবিউল আউয়াল ওরফে সাজু আসামীদের বেয়াদবি না করার জন্য অনুরোধ করলে তৎক্ষনাৎ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র, রামদা, চাপাতি, ছোড়া, চাইনিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি এবং কাঠের ফালিসহ লোহার রড দিয়া অতর্কিত হামলা করে সাজুর শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখম করে এবং ধারালো রামদা দিয়া সাজুর মাথায় লক্ষ করে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে সাজুর মাথার ডান পাশে পিছনের অংশে লেগে কাটা গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে আসামীরা দুইটি এনড্রডেট মোবাইলসহ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।

হত্যার পরিকল্পনাকারী আলমগীরের নেতৃত্বে হাফিজসহ মোমেন, আনোয়ার, মোবারক, কামু, মতিন, সাইফুল ও রাসেলসহ আরো ৩০/৪০ জন উক্ত ঘটনায় আহত সাজুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু এই সময় সাজুর নিকটাত্মীয় আনোয়ার হোসেন (৪৫) এবং সাজুর বন্ধু মামুন ও বায়োজিদ আগাইয়া আসিলে সাজুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বন্দর নিয়ে গেলে সাজুর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণকরার পরও অদ্যবধি সুস্থ হতে পারেনি সাজু। বন্দর থানায় উপরোক্ত ঘটনায় ৯ জনকে চিহ্নিত করে ১৫ জুন ১৪৩/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/৫০৬/১১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-২৮।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল জলিল একজন আসামীকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরন করেছে, এবং আরো তিনজন আসামী আত্মসমপর্ন করে আদালত থেকে জামিন নিয়েছে বলে জানা গেছে কিন্তু মামলার প্রায় মাস খানেক হলেও নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী আলমগীর ও বখাটে হাফিজ এখনও গ্রেফতার হয়নি বরং উল্টো বাদী পক্ষকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং সাজুকে পেলে খুন করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকীও দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, আলমগীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন গত বছর একটি নন প্রসিকিউশন মামলা দায়ের করে মামলা নং-১৮/২৪। তারপর থেকেই খুন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে যাচ্ছে আসামীরা। এদিকে মামলার খবর পেয়ে আসামী হাফিজ (২২) বন্দর বাগবাড়ি ছেড়ে তার নানার বাড়ি কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মনগাঁওয়ের কুন্ডায় পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় নিরাপদ সড়ক ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে লক্ষ্যে মানববন্ধন ও র‌্যালি

বন্দরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী আলমগীর ও হাফিজ প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ

আপডেট সময় ১২:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার : বন্দর উপজেলায় ভ্যান দিয়ে সবজি বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রবিউল আউয়াল সাজুকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারধর ও ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে আহত করেছে একই উপজেলার মাকদাসক্ত সন্ত্রাসী আলমগীর ও বখাটে হাফিজসহ সন্ত্রাসী বাহিনী। এই ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মায়াপুর গ্রামে গত ১৪ জুন রাত ৮টার সময় আসামীদের বাড়ীর উঠানে পূর্বের ঝগড়ার বিষয় নিয়ে দরবার সালিশ হয়। এই সময় আসামীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি করে গ্রাম্য মাতবরদের নিয়ে কটাক্ষ করে বেয়াদবি শুরু করে।

ঐ সময় উক্ত সালিশে রবিউল আউয়াল ওরফে সাজু আসামীদের বেয়াদবি না করার জন্য অনুরোধ করলে তৎক্ষনাৎ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র, রামদা, চাপাতি, ছোড়া, চাইনিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি এবং কাঠের ফালিসহ লোহার রড দিয়া অতর্কিত হামলা করে সাজুর শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখম করে এবং ধারালো রামদা দিয়া সাজুর মাথায় লক্ষ করে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে সাজুর মাথার ডান পাশে পিছনের অংশে লেগে কাটা গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে আসামীরা দুইটি এনড্রডেট মোবাইলসহ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।

হত্যার পরিকল্পনাকারী আলমগীরের নেতৃত্বে হাফিজসহ মোমেন, আনোয়ার, মোবারক, কামু, মতিন, সাইফুল ও রাসেলসহ আরো ৩০/৪০ জন উক্ত ঘটনায় আহত সাজুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু এই সময় সাজুর নিকটাত্মীয় আনোয়ার হোসেন (৪৫) এবং সাজুর বন্ধু মামুন ও বায়োজিদ আগাইয়া আসিলে সাজুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বন্দর নিয়ে গেলে সাজুর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণকরার পরও অদ্যবধি সুস্থ হতে পারেনি সাজু। বন্দর থানায় উপরোক্ত ঘটনায় ৯ জনকে চিহ্নিত করে ১৫ জুন ১৪৩/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/৫০৬/১১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-২৮।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল জলিল একজন আসামীকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরন করেছে, এবং আরো তিনজন আসামী আত্মসমপর্ন করে আদালত থেকে জামিন নিয়েছে বলে জানা গেছে কিন্তু মামলার প্রায় মাস খানেক হলেও নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী আলমগীর ও বখাটে হাফিজ এখনও গ্রেফতার হয়নি বরং উল্টো বাদী পক্ষকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং সাজুকে পেলে খুন করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকীও দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, আলমগীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন গত বছর একটি নন প্রসিকিউশন মামলা দায়ের করে মামলা নং-১৮/২৪। তারপর থেকেই খুন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে যাচ্ছে আসামীরা। এদিকে মামলার খবর পেয়ে আসামী হাফিজ (২২) বন্দর বাগবাড়ি ছেড়ে তার নানার বাড়ি কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মনগাঁওয়ের কুন্ডায় পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।