স্টাফ রিপোর্টার : বন্দর উপজেলায় ভ্যান দিয়ে সবজি বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রবিউল আউয়াল সাজুকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারধর ও ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে আহত করেছে একই উপজেলার মাকদাসক্ত সন্ত্রাসী আলমগীর ও বখাটে হাফিজসহ সন্ত্রাসী বাহিনী। এই ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মায়াপুর গ্রামে গত ১৪ জুন রাত ৮টার সময় আসামীদের বাড়ীর উঠানে পূর্বের ঝগড়ার বিষয় নিয়ে দরবার সালিশ হয়। এই সময় আসামীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি করে গ্রাম্য মাতবরদের নিয়ে কটাক্ষ করে বেয়াদবি শুরু করে।
ঐ সময় উক্ত সালিশে রবিউল আউয়াল ওরফে সাজু আসামীদের বেয়াদবি না করার জন্য অনুরোধ করলে তৎক্ষনাৎ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র, রামদা, চাপাতি, ছোড়া, চাইনিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি এবং কাঠের ফালিসহ লোহার রড দিয়া অতর্কিত হামলা করে সাজুর শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা যখম করে এবং ধারালো রামদা দিয়া সাজুর মাথায় লক্ষ করে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে সাজুর মাথার ডান পাশে পিছনের অংশে লেগে কাটা গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে আসামীরা দুইটি এনড্রডেট মোবাইলসহ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
হত্যার পরিকল্পনাকারী আলমগীরের নেতৃত্বে হাফিজসহ মোমেন, আনোয়ার, মোবারক, কামু, মতিন, সাইফুল ও রাসেলসহ আরো ৩০/৪০ জন উক্ত ঘটনায় আহত সাজুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু এই সময় সাজুর নিকটাত্মীয় আনোয়ার হোসেন (৪৫) এবং সাজুর বন্ধু মামুন ও বায়োজিদ আগাইয়া আসিলে সাজুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বন্দর নিয়ে গেলে সাজুর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণকরার পরও অদ্যবধি সুস্থ হতে পারেনি সাজু। বন্দর থানায় উপরোক্ত ঘটনায় ৯ জনকে চিহ্নিত করে ১৫ জুন ১৪৩/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/৫০৬/১১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-২৮।
উল্লেখ্য যে, আলমগীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন গত বছর একটি নন প্রসিকিউশন মামলা দায়ের করে মামলা নং-১৮/২৪। তারপর থেকেই খুন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে যাচ্ছে আসামীরা। এদিকে মামলার খবর পেয়ে আসামী হাফিজ (২২) বন্দর বাগবাড়ি ছেড়ে তার নানার বাড়ি কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মনগাঁওয়ের কুন্ডায় পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।