ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রাজধানীর মতিঝিলে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের মুল শক্তি ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির- ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।  নান্দাইলে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন পিতা-পুত্র কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযান: যুবকের ৪ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড        দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সভায় কমিটির পূর্নগঠন নুরুল করিম মজুমদারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ খানসামায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা মাধবপুর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম আটক রামবুটান চাষে ভাগ্য বদল প্রবাস ফেরত আফজাল শেখের সাফল্যের গল্প   

সীমান্তে বিএসএফের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে : নাহিদ ইসলাম 

সীমান্তে বিএসএফের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে : নাহিদ ইসলাম 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার চেয়েছি, আমরা গণত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। আমরা জুলাই ঘোষনাপত্র এবং জুলাই সনদ চেয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা একটি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। রোববার বিকেল তিনটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের সামনে জুলাই পদযাত্রা শেষে এক পথসভায় এ কথাগুলো বলেন নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের সকল জেলায় এমন বৈষম্য দূর হবে আমরা সেই স্বপ্ন দেখি।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে, এখানে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটনায়। আমরা কিন্তু এইসব আগ্রাসন আর মেনে নিবোনা। সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে দাদাদের, সেই দিন শেষ হয়েছে। আবার আগ্রাসন চালানো হলে, আমার ভাইদের হত্যা করা হলে আমরা লং মার্চ ঘোষনা করবো। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করবো।

বিগত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নাহিদ ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজধানী। কিন্তু দুঃখের বিষয় এতো ঐতিহ্যবাহী জেলা হওয়া স্বর্তেও এই আমকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে, বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে, রপ্তানী করতে কোন সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। প্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেশম শিল্পের জন্য বিখ্যাত। সেই রেশম শিল্পও দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।


আমরা বাংলাশের যে জাতীয় শিল্প রয়েছে, 
কুটির শিল্প রয়েছে। সেগুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের জন্য আন্দোলন করছেন। আমরা এই সভা থেকে আপনাদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন করছি। আমরা আহ্বান করি সরকার যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর এই দাবি পুরণ করে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে প্রতিরোধের প্রতিক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মানে দেশ রক্ষায় সীমান্তে কাস্তে হাতে বসে থাকা সেই কৃষক। আমরা সেই কৃষকের সন্তান যারা বুক চেতিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।

দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের উপর দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নির্মম নির্যাতন করেছে। সেই নির্যাতনকে সাই দিয়ে দিল্লির সরকারও সীমান্তে হত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে। ভারত আর কোনদিন আঙ্গুল উচিয়ে কথা বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। আগামীর বাংলাদেশে আর কোন বৈষম্য দেখতে চাইনা। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আর পুরোনো সিস্টেমে চলতে পারেনা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য আসিফ মোস্তফা জামাল প্রমুখ। ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই ছিল সম্মিলিত বিস্ফোরণ। চাঁপাইনবাবগঞ্জও এর ব্যতিক্রম ছিলনা। এ শহরের যেসব সড়ক স্বৈরাচারবিরোদী আন্দোলনে উত্তাল ছিলো সেসব সড়কে পদযাত্রা করেন জুলাই বিপ্লবের নায়কেরা। বিকেলে এনসিপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয় উদ্বোধন শেষে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন এনসিপির নেতারা।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

সীমান্তে বিএসএফের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে : নাহিদ ইসলাম 

আপডেট সময় ০৭:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার চেয়েছি, আমরা গণত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। আমরা জুলাই ঘোষনাপত্র এবং জুলাই সনদ চেয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা একটি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। রোববার বিকেল তিনটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের সামনে জুলাই পদযাত্রা শেষে এক পথসভায় এ কথাগুলো বলেন নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের সকল জেলায় এমন বৈষম্য দূর হবে আমরা সেই স্বপ্ন দেখি।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে, এখানে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটনায়। আমরা কিন্তু এইসব আগ্রাসন আর মেনে নিবোনা। সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে দাদাদের, সেই দিন শেষ হয়েছে। আবার আগ্রাসন চালানো হলে, আমার ভাইদের হত্যা করা হলে আমরা লং মার্চ ঘোষনা করবো। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করবো।

বিগত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নাহিদ ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজধানী। কিন্তু দুঃখের বিষয় এতো ঐতিহ্যবাহী জেলা হওয়া স্বর্তেও এই আমকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে, বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে, রপ্তানী করতে কোন সরকারই উদ্যোগ নেয়নি। প্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেশম শিল্পের জন্য বিখ্যাত। সেই রেশম শিল্পও দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।


আমরা বাংলাশের যে জাতীয় শিল্প রয়েছে, 
কুটির শিল্প রয়েছে। সেগুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের জন্য আন্দোলন করছেন। আমরা এই সভা থেকে আপনাদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন করছি। আমরা আহ্বান করি সরকার যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর এই দাবি পুরণ করে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে প্রতিরোধের প্রতিক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মানে দেশ রক্ষায় সীমান্তে কাস্তে হাতে বসে থাকা সেই কৃষক। আমরা সেই কৃষকের সন্তান যারা বুক চেতিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।

দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের উপর দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নির্মম নির্যাতন করেছে। সেই নির্যাতনকে সাই দিয়ে দিল্লির সরকারও সীমান্তে হত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে। ভারত আর কোনদিন আঙ্গুল উচিয়ে কথা বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। আগামীর বাংলাদেশে আর কোন বৈষম্য দেখতে চাইনা। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আর পুরোনো সিস্টেমে চলতে পারেনা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য আসিফ মোস্তফা জামাল প্রমুখ। ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই ছিল সম্মিলিত বিস্ফোরণ। চাঁপাইনবাবগঞ্জও এর ব্যতিক্রম ছিলনা। এ শহরের যেসব সড়ক স্বৈরাচারবিরোদী আন্দোলনে উত্তাল ছিলো সেসব সড়কে পদযাত্রা করেন জুলাই বিপ্লবের নায়কেরা। বিকেলে এনসিপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয় উদ্বোধন শেষে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন এনসিপির নেতারা।