ঢাকা , রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রাজধানীর মতিঝিলে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের মুল শক্তি ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির- ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।  নান্দাইলে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন পিতা-পুত্র কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযান: যুবকের ৪ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড        দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সভায় কমিটির পূর্নগঠন নুরুল করিম মজুমদারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ খানসামায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা মাধবপুর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম আটক রামবুটান চাষে ভাগ্য বদল প্রবাস ফেরত আফজাল শেখের সাফল্যের গল্প   

রাজধানীর মতিঝিলে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

রাজধানীর মতিঝিলে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল উত্তর থানার উদ্যোগে আজ বিকেলে মতিঝিলের বায়তুল আমান মসজিদে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, জামায়াত মনোনীত ঢাকা ৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল উত্তর থানা আমীর শামসুল বারীর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন থানার কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুল্লাহ খান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন আকাশ সহ থানার ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারিবৃন্দ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, স্বৈরাচার ও জালেম শাসকের বিরুদ্ধে আশুরা এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের দিন। আশুরা আমাদেরকে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে আপোষহীন প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। ১০ই মহররম শুধু মুসলমানদের জন্যই নয় বরং পূর্ববর্তী সকল উম্মতের কাছে ও একটি মর্যাদা পূর্ণদিন, যা ঐতিহাসিক অনেক ঘটনার স্বাক্ষ্য বহন করে।

 

তিনি বলেন, এই দিনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টিসহ ১০জন নবী ও রাসূলকে বিভিন্ন নিয়ামত দানও বিপদ-মুসিবত থেকে রক্ষা করে ছিলেন। ৬১হিজরীর এইদিনে অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদের অন্যায়, অত্যাচার ও ইসলামের মুলনীতি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাসূল (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা) স্ব-পরিবারে কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন।

 

মূলত, কারবালার লড়াই ছিল জালিম শাসকের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। ইমাম হুসাইন (রা.) স্ব-পরিবারে শাহাদতের মাধ্যমে দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে গেছেন পার্থিব স্বার্থের কাছে কোনো মুমিন মাথানত করতে পারেনা। ফলে আশুরা প্রতিটি মুসলমানকে ত্যাগের মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কঠিন ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দেয়। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আশুরার মহান শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন রূপে ফিরে আসবে।

 

আলোচনা শেষে মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

রাজধানীর মতিঝিলে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১১:৪০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল উত্তর থানার উদ্যোগে আজ বিকেলে মতিঝিলের বায়তুল আমান মসজিদে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, জামায়াত মনোনীত ঢাকা ৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল উত্তর থানা আমীর শামসুল বারীর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন থানার কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুল্লাহ খান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন আকাশ সহ থানার ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারিবৃন্দ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, স্বৈরাচার ও জালেম শাসকের বিরুদ্ধে আশুরা এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের দিন। আশুরা আমাদেরকে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে আপোষহীন প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। ১০ই মহররম শুধু মুসলমানদের জন্যই নয় বরং পূর্ববর্তী সকল উম্মতের কাছে ও একটি মর্যাদা পূর্ণদিন, যা ঐতিহাসিক অনেক ঘটনার স্বাক্ষ্য বহন করে।

 

তিনি বলেন, এই দিনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টিসহ ১০জন নবী ও রাসূলকে বিভিন্ন নিয়ামত দানও বিপদ-মুসিবত থেকে রক্ষা করে ছিলেন। ৬১হিজরীর এইদিনে অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদের অন্যায়, অত্যাচার ও ইসলামের মুলনীতি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাসূল (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা) স্ব-পরিবারে কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন।

 

মূলত, কারবালার লড়াই ছিল জালিম শাসকের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। ইমাম হুসাইন (রা.) স্ব-পরিবারে শাহাদতের মাধ্যমে দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে গেছেন পার্থিব স্বার্থের কাছে কোনো মুমিন মাথানত করতে পারেনা। ফলে আশুরা প্রতিটি মুসলমানকে ত্যাগের মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কঠিন ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দেয়। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আশুরার মহান শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন রূপে ফিরে আসবে।

 

আলোচনা শেষে মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।