স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী: খান বাহাদুর আহছানউল্লা কেবল একজন ব্যক্তি নন, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি সমগ্র বিশ্বের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক। সোমবার (২৩ জুন) সকালে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে ‘শিক্ষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে খান বাহাদুর আহছানউল্লা’র অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, খান বাহাদুর বিস্তৃত চিন্তার এক সিংহ পুরুষ ছিলেন। সাহিত্যিক হিসাবে তিনি যেমন অনবদ্য ছিলেন তেমনি শিক্ষাখাতে তাঁর যে চিন্তাচেতনা তা ছিল দূরদর্শী। বর্তমান সময়ে আমরা নাম ছাড়া রোল নাম্বার ব্যবহার খাতা মূল্যায়ন করছি তা তারই প্রবর্তন করা পদ্ধতি। মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির সুযোগ তৈরি, স্কুল-কলেজে মৌলবির পদ সৃষ্টি, মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পাঠ্যক্রম তৈরিসহ মুসলিম শিক্ষায় তার অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি আরো বলেন, একদিকে তিনি যেমন মুসলিম স্কলার ছিলেন অন্যদিকে ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চিন্তার এক চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে শান্তিরক্ষায় এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালান তিনি ও তৎকালীন উপমহাদেশের মনীষীরা। ইংরেজ শাসন আমলে তিনি সমকালীন বিপ্লবীদের সাথে নিয়ে দেশ সংস্কারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরি তিনি আরো বলেন, খান বাহাদুরের উত্তরসূরিরা জুলাই বিপ্লবে তাঁর আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এখন তাদের দায়িত্ব অনেক। বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সেমিনারে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর কালাচাঁদ শীল।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মতিউর রহমান, সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম হোসেন, সম্পাদকের বক্তব্য রাখেন ড. মো. রাশেদ করিম। এ সময় বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকসহ চার শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।