ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পেকুয়ায় ডেভিল হান্ট অভিযানে নিষিদ্ধ আ.লীগের ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কালীগঞ্জে প্রতিবন্ধি ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ রাণীশংকৈলে ৩ দিন ব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন বর্ষা আসলেই দাগনভূঁইয়ার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের জনগণর চলাচলের রাস্তার বেহাল দশা গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন বরিশালের সন্তান সাংবাদিক নিয়াজ মাহমুদ নকলায় উদ্বোধন করা হল ৩ দিনব্যাপি জাতীয় ফল মেলা ‎একমাত্র জীবিত জমিদারের দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি দেখতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে  নাইক্ষ্যংছড়িতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ডা. জোবায়দা রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আজাদ’ র শুভেচ্ছা বুড়িচংয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কটিয়াদীতে বেকারত্ব কমাচ্ছে অটোরিকশা বাহন। 

কটিয়াদীতে বেকারত্ব কমাচ্ছে অটোরিকশা বাহন। 

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর সদর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বেড়েছে বেকারত্বের সংখ্যা। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমাজে নানা ধরনের অস্থিরতা। বেড়েছে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধও।


বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের যেসব যুবকরা শহরের বিভিন্ন গার্মেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন সংকটে চাকরি হারিয়ে বেকার। 
স¤প্রতি কটিয়াদীতে ব্যাপক হারে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।

গ্রামের বেকার যুবকরা বর্তমানে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। করোনা বা বিভিন্ন অসুস্থ্যতায় যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের একটি অংশ অটোরিকশা চালিয়ে বর্তমানে সাবলম্বী হচ্ছেন। এতে যেমন বেকারত্বের সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়ছে।

বেসরকারি হিসাবে উপজেলায় চার থেকে পাঁচ হাজার অটোরিকশা রয়েছে। যার মধ্যে বিভাটেকের সংখ্যাও কম নয়। অধিকাংশ চালকই ২০ থেকে ৩০ বছরের যুবক। তারা জীবিকা নির্বাহে লড়াই করে যাচ্ছেন।

 চালকদের একটি সূত্র বলছে, যাদের অটোরিকশা আছে তাদের অধিকাংশই এনজিও অথবা কিস্তির মাধ্যমে গাড়িগুলো নেন। আবার কেউ কেউ নগদ অর্থ দিয়ে অটোরিকশা ক্রয় করেন। এমন সংখ্যা খুব কম।

চালকরা মনে করেন, অটোরিকশা চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। কেননা করোনা সংকটে অনেকেই বিপর্যস্ত। তাই অটোরিকশার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক যুবক। আর বিশেষ করে স্থানীয় এনজিও, ব্যাংক এদের ভূমিকাও কম নয় বলে বলে জানিয়েছে চালকরা। মসূয়া গ্রামের যুবক ইমরান হুসাইন (২৮)। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। কিন্তু টায়ফয়েড জ্বরের কারণে তার চাকরি চলে যায়।

ইমরান জানান, ‘চাকরিটি ছেড়ে দেওয়ার পর মাস কয়েক মাস বেকার ছিলাম। বাড়িতে কোনো কাজ ছিল না। তারপর কিস্তির মাধ্যমে অটোরিকশা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করি। এরপর থেকে বদলাতে শুরু করে দৈনন্দিন জীবন। আমি বর্তমানে একজন সফল যুবক।’ করগাঁও গ্রামের আতাউল্লাহ মিয়া (২৩)। সেও দীর্ঘদিন এলাকায় কোনো কাজ না পেয়ে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশা ক্রয় করে।

তিনি জানান, ‘বর্তমানে আমার দৈনিক আয় ৮০০-১০০০ টাকা। ইতোমধ্যে আমার কিস্তি প্রায় শেষের পথে। প্রতিদিন আমার যে টাকা আয় হয়, তাতে আমার পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারি।’

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় দিন দিন অটোরিকশার সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বেকারত্বের সংখ্যাও দিন দিন কমছে। ফলে গ্রামে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা কমে গেছে। তবে অটোরিকশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এদেরকে একটি লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারলে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা রোধ হবে, অন্যদিকে সরকার রাজস্ব পাবে।’

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

পেকুয়ায় ডেভিল হান্ট অভিযানে নিষিদ্ধ আ.লীগের ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

কটিয়াদীতে বেকারত্ব কমাচ্ছে অটোরিকশা বাহন। 

আপডেট সময় ০৭:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর সদর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বেড়েছে বেকারত্বের সংখ্যা। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমাজে নানা ধরনের অস্থিরতা। বেড়েছে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধও।


বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের যেসব যুবকরা শহরের বিভিন্ন গার্মেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন সংকটে চাকরি হারিয়ে বেকার। 
স¤প্রতি কটিয়াদীতে ব্যাপক হারে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।

গ্রামের বেকার যুবকরা বর্তমানে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। করোনা বা বিভিন্ন অসুস্থ্যতায় যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের একটি অংশ অটোরিকশা চালিয়ে বর্তমানে সাবলম্বী হচ্ছেন। এতে যেমন বেকারত্বের সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়ছে।

বেসরকারি হিসাবে উপজেলায় চার থেকে পাঁচ হাজার অটোরিকশা রয়েছে। যার মধ্যে বিভাটেকের সংখ্যাও কম নয়। অধিকাংশ চালকই ২০ থেকে ৩০ বছরের যুবক। তারা জীবিকা নির্বাহে লড়াই করে যাচ্ছেন।

 চালকদের একটি সূত্র বলছে, যাদের অটোরিকশা আছে তাদের অধিকাংশই এনজিও অথবা কিস্তির মাধ্যমে গাড়িগুলো নেন। আবার কেউ কেউ নগদ অর্থ দিয়ে অটোরিকশা ক্রয় করেন। এমন সংখ্যা খুব কম।

চালকরা মনে করেন, অটোরিকশা চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। কেননা করোনা সংকটে অনেকেই বিপর্যস্ত। তাই অটোরিকশার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক যুবক। আর বিশেষ করে স্থানীয় এনজিও, ব্যাংক এদের ভূমিকাও কম নয় বলে বলে জানিয়েছে চালকরা। মসূয়া গ্রামের যুবক ইমরান হুসাইন (২৮)। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। কিন্তু টায়ফয়েড জ্বরের কারণে তার চাকরি চলে যায়।

ইমরান জানান, ‘চাকরিটি ছেড়ে দেওয়ার পর মাস কয়েক মাস বেকার ছিলাম। বাড়িতে কোনো কাজ ছিল না। তারপর কিস্তির মাধ্যমে অটোরিকশা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করি। এরপর থেকে বদলাতে শুরু করে দৈনন্দিন জীবন। আমি বর্তমানে একজন সফল যুবক।’ করগাঁও গ্রামের আতাউল্লাহ মিয়া (২৩)। সেও দীর্ঘদিন এলাকায় কোনো কাজ না পেয়ে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশা ক্রয় করে।

তিনি জানান, ‘বর্তমানে আমার দৈনিক আয় ৮০০-১০০০ টাকা। ইতোমধ্যে আমার কিস্তি প্রায় শেষের পথে। প্রতিদিন আমার যে টাকা আয় হয়, তাতে আমার পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারি।’

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় দিন দিন অটোরিকশার সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বেকারত্বের সংখ্যাও দিন দিন কমছে। ফলে গ্রামে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা কমে গেছে। তবে অটোরিকশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এদেরকে একটি লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারলে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা রোধ হবে, অন্যদিকে সরকার রাজস্ব পাবে।’