মেহেদী রাকিব, মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় নিজ বাড়ির বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ঘরে থাকা নিহত গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৪ টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের নিহত গৃহবধূর বাবা ইউনুচের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় নিহত গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ তানিয়া আক্তার (২৩) উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইউনুচের মেয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী ছিলেন।
আটককৃত স্বামী হলেন, মোঃ সজীব হোসেন। তিনি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসমাইলের ছেলে।
নিহত গৃহবধূর মা মাইনুর বেগম জানান, মেয়ের জামাই পরকিয়ায় আসক্ত ছিলেন। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। এমনকি মেয়েকে আমাদের সামনে জামাই মারধর করতো। পরে মেয়ে নাতেিক নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে।
তিনি আরও জানান, সোমবার (১৬ জুন) মেয়ের জামাই বাড়িতে আসে। ফের মেয়ে ও মেয়ের জামাইর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ১ টার দিকে নাতি কান্নাকাটি করতে থাকে। পরে মেয়ের রুমের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলে কোন শব্দ না পেয়ে রুমে প্রবেশ করে দেখি মেয়েে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। হাটু ভাঙ্গা।
বিছনায় মেয়ের জামাই সজিব শুয়ে রয়েছে। পরে চিৎকার দিলে মেয়ের বাবা ইউনুচ আসে। এই সময় মেয়ের জামাই সজিব পালিয়ে যেতে চায়। তখন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ও মেয়ের জামাই সজিবকে আটক করে।
তিনি দাবী করেন, মেয়ের জামাই সজিব পরিকিল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচার দাবী করেন।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় গৃবধূর স্বামীওেক আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।