নিজস্ব প্রতিবেদক : মানব পাচার মামলার আসামী শওকত (৫০) যশোরের বাঘারপাড়ায় র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার।
ভিকটিম শিমলা খাতুন (১৯)’কে আসামী শওকত আলী (৫০)’সহ অপরাপর আসামীগণ পরিকল্পিতভাবে ০১ বছর পূর্বে আসামী মো: শাহীন হোসেন (২৬) এর সাথে একটি জাল কাবিননামা তৈরী করে ফুসলিয়ে বিয়ে করায়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৬/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় আসামী শাহীন ভিকটিমকে ভারতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভারতে যায় এবং সেখানে গিয়ে ভিকটিম জানতে পারে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে এই ভাবে লোকজনকে ভারতে পাঠিয়ে দেহব্যবসা সহ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এরপর ভিকটিম আরো জানতে পারে যে, মেয়েদের কাছে থেকে অবৈধ উপার্জিত সকল অর্থ আসামীরা দালালের মাধ্যমে দেশে পাঠায়। সব কিছু জানার পর ভিকটিম কৌশলে বাংলাদেশে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করে এবং আসামীগণ ভিকটিমকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভিকটিমের মায়ের নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। অতঃপর ভিকটিমের মা অনেক কষ্টে ২০,০০০/-টাকা ম্যানেজ করে দিলে গত ২৪/০৫/২০২৫ তারিখে ভিকটিম দালালের মাধ্যেমে বাংলাদেশে আসতে ধরলে বিএসএফ এর নিকট আটক হয় এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
উক্ত ঘটনায়, ভিকটিম বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলা নং- ১০৩, তারিখ- ২৯/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ৬/৭/১০(১) মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইন, ২০১২ রুজু হয়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনায় জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৭/০৬/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১৭:৫০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-৬ এর সহযোগীতায় যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন পদ্মবিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী শওকত আলী (৫০), পিতা- জব্বার আলী, সাং- পদ্মবিলা, থানা- বাঘারপাড়া, জেলা- যশোর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।