নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আজ রবিবার (১৫ জুন) মহানগরী অফিসে কনফারেন্স রুমে মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য
ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান সহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবানীর আদর্শে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক শোষন ও বৈষম্য দূর করে একটি তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যদি বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনূসরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে কর্মপরিষদ সদস্যদের আরও অগ্রগামী হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহন মূলক নির্বাচনের আয়োজন করা। ১/১১ সরকারের সাথে আওয়ামীলীগ সমঝোতার মাধ্যমে ২০০৯ সালে যেভাবে ক্ষমতা দখল করে অনূরূপ আবারো সমঝোতার নির্বাচন হলে জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নিবে না। ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে যারা বেঈমানী করবে তাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তিনি সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করে জনগণের প্রত্যাশিত ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ইরানের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মহানগরী আমীর বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের উপর পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে এবার আন্তর্জাতিক সকল আইন ও নীতি লঙ্ঘন করে গভীর রাতে ইরানের উপর হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে এবং পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখার জন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরাইল ও তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মহান আল্লাহ মানব জাতির জন্য কল্যাণকর একটি বিধান ঠিক করে দিয়েছেন আর তা হলো ইসলাম। তাই আমাদের জীবনে ইসলামের হুকুম ও বিধানগুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। ত্যাগের মহিমায় অনুপ্রাণিত হয়ে যেভাবে আমরা কুরবানী পেশ করেছি। অনুরূপভাবে ইকামাতে দ্বীনের বিজয়ে আমাদের যেকোনো ত্যাগ কুরবানী স্বীকার করতে হবে। এদেশে ইসলামী আদর্শকে বিজয়ী করার মাধ্যমেই প্রকৃত ঈদ উদযাপন করতে হবে।