ঢাকা , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হিজলায় নারী কেলেঙ্কারি অপবাদে যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত। নগরীতে পরিবহনকালে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ মাদক কারবারী গ্রেফতার ৪  কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির ২ আহ্বায়ক কমিটি ঈদে গরীব অসহায় দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নবীগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রভাবশালীর ভবন নির্মাণের চেষ্টা! পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷  জামায়াত সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ চুরি ও ক্ষতিসাধন মামলার ০২ জন আসামী পোস্তগোলায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। নালিতাবাড়ীতে জনতার দলের আলোচনা সভা: ইনসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজের প্রতি আহ্বান বিজয়নগরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ হোসেনপুরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন, সম্পাদক সুমন

জামায়াত সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৫ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “তৎকালীন সরকার ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যে বাকশাল গঠন করে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বাকশালী সরকার ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন শুধু ৪টি সংবাদপত্র দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, ইত্তেফাক ও বাংলাদেশ অবজারভার সরকারি নিয়ন্ত্রণে চালু রেখে বাকী সকল সংবাদপত্রের প্রকাশনা বাতিল করে দিয়ে সংবাদপত্র ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক, কর্মচারী ও কর্মকৌশলী বেকার হয়ে পড়েছিল। বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে সাংবাদিক-কর্মচারী ও কলা-কৌশলীগণ পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত।

 

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, একইভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই সংবাদপত্র ও মিডিয়ার উপর দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার তার ১৫ বছরের শাসনামলে দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, সিএসবি টিভি ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার এবং বহু অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বেশকিছু সংবাদপত্র ও মিডিয়ার প্রকাশনা অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেয়। হাজার হাজার সাংবাদিক, সংবাদপত্রের কর্মী ও কলা-কৌশলীগণ বেকারত্বের মুখে পড়ে চরম অমানবিক জীবন-যাপন করতে বাধ্য হন।

 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৩২ ধারা হিসেবে পরিচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে কালাকানুন তৈরি করে। আইনটি নিবর্তনমূলক হওয়ায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র সংস্থার চাপের মুখে পড়ে সরকার। সরকার আইওয়াশ হিসেবে আবারো ২০২৩ সালে আগের আইনটির নামে মাত্র কিছু ধারা পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নতুন শিরোনাম দিয়ে আরেকটি কালাকানুনের ব্যবস্থা করে।

 

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতেই পতিত স্বৈরাচার সরকার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনটি’ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এই নিবর্তনমূলক কালাকানুনে বহু সাংবাদিক ও মুক্তচিন্তার মানুষকে হয়রানি করা হয় এবং তাঁদেরকে বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা হয়। দেশের সকল রাজনেতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক সমাজ এ কালো আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও সরকার সেদিকে মোটেই কর্ণপাত করেনি। মূলত সাংবাদিক সমাজের কলম বন্ধ করতেই সরকার নতুন এই কলাকানুনটি প্রণয়ন করেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই কালো আইনটির ৯টি ধারা অক্ষুণœ রেখে বাকী সবগুলো ধারা বাতিল করেছে এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা এবং দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, সিএসবি ও ইসলামিক টিভি চালুর অনুমতি দিয়েছে।

 

তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। দেশবাসীর প্রত্যাশা সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় গঠনমূলক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন এবং সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলবেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণকে সচেতন করবেন।

 

তিনি আরও বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সরকার গঠনের সুযোগ করে দিলে জামায়াত বাক-স্বাধীনতা রক্ষা এবং সংবাদপত্রের উৎকর্ষ সাধন ও সংবাদকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হিজলায় নারী কেলেঙ্কারি অপবাদে যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত।

জামায়াত সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ

আপডেট সময় ১২:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৫ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “তৎকালীন সরকার ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যে বাকশাল গঠন করে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বাকশালী সরকার ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন শুধু ৪টি সংবাদপত্র দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, ইত্তেফাক ও বাংলাদেশ অবজারভার সরকারি নিয়ন্ত্রণে চালু রেখে বাকী সকল সংবাদপত্রের প্রকাশনা বাতিল করে দিয়ে সংবাদপত্র ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক, কর্মচারী ও কর্মকৌশলী বেকার হয়ে পড়েছিল। বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে সাংবাদিক-কর্মচারী ও কলা-কৌশলীগণ পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত।

 

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, একইভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই সংবাদপত্র ও মিডিয়ার উপর দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার তার ১৫ বছরের শাসনামলে দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, সিএসবি টিভি ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার এবং বহু অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বেশকিছু সংবাদপত্র ও মিডিয়ার প্রকাশনা অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেয়। হাজার হাজার সাংবাদিক, সংবাদপত্রের কর্মী ও কলা-কৌশলীগণ বেকারত্বের মুখে পড়ে চরম অমানবিক জীবন-যাপন করতে বাধ্য হন।

 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৩২ ধারা হিসেবে পরিচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে কালাকানুন তৈরি করে। আইনটি নিবর্তনমূলক হওয়ায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র সংস্থার চাপের মুখে পড়ে সরকার। সরকার আইওয়াশ হিসেবে আবারো ২০২৩ সালে আগের আইনটির নামে মাত্র কিছু ধারা পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নতুন শিরোনাম দিয়ে আরেকটি কালাকানুনের ব্যবস্থা করে।

 

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতেই পতিত স্বৈরাচার সরকার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনটি’ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এই নিবর্তনমূলক কালাকানুনে বহু সাংবাদিক ও মুক্তচিন্তার মানুষকে হয়রানি করা হয় এবং তাঁদেরকে বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা হয়। দেশের সকল রাজনেতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক সমাজ এ কালো আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও সরকার সেদিকে মোটেই কর্ণপাত করেনি। মূলত সাংবাদিক সমাজের কলম বন্ধ করতেই সরকার নতুন এই কলাকানুনটি প্রণয়ন করেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই কালো আইনটির ৯টি ধারা অক্ষুণœ রেখে বাকী সবগুলো ধারা বাতিল করেছে এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা এবং দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, সিএসবি ও ইসলামিক টিভি চালুর অনুমতি দিয়েছে।

 

তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। দেশবাসীর প্রত্যাশা সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় গঠনমূলক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন এবং সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলবেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণকে সচেতন করবেন।

 

তিনি আরও বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সরকার গঠনের সুযোগ করে দিলে জামায়াত বাক-স্বাধীনতা রক্ষা এবং সংবাদপত্রের উৎকর্ষ সাধন ও সংবাদকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।