দৈনিক বরিশালের প্রাণ ডেস্ক : 
রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর : রংপুরে বদরগঞ্জে যৌতুকের জন্য শশুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৬ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে জামাই বিরুদ্ধে। এছাড়া ভাংচুর ও লুটপাটের মত ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ১৪ জুন সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ মোকসেদপুর বানুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রফিজ উদ্দীন জামাই শামীমকে প্রধান কে ৮ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রফিজ উদ্দীন তার মেজ মেয়ে জোসনা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে শামীমের সঙ্গে পারিবারিক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে বিয়ে দেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তখন জামাই কে নগদটাকাসহ অলংকার দেন। কিন্তু শামীম তার যৌতুকের চাহিদা দিনে দিনে আরো বাড়তে থাকে। স্ত্রীকে প্রায় সময় যৌতুকের টাকার জন্য বাপের বাড়ি থেকে আনতে বলে।
এতে জোসনা বেগম তার স্বামী শামীম মিয়া কথা শোনেনা। ঘটনার দিন শামীম মিয়া নেতৃত্ব আশিকুল, ছাদেকুল,আজিজসহ ৭ থেকে ৮ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শশুর রফিজ উদ্দীন বাড়িতে হামলা চালায় বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে আলমারি ভেঙ্গে গরু বিক্রির টাকাসহ নগদ টাকা ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেন।
এসময় রফিজ উদ্দীন বড় মেয়ে রোকসানা বেগম বাঁধা দিলে তাকে গলায় দড়ি দিয়ে টানাটানি করলে গলায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। এসময় বড় মেয়ে জামাই আগাইলে তার মাথা ইট দিয়ে ফাটিয়ে দেন। এসময় বাড়ির আরো ৪ সদস্য আগাআগি করলে তাদের ম হাত পা আঘাত করে শামীম ও তার লোকজন। আরেকজন শরীরে আঘাতসহ বেশ কয়েকটি দাঁত ভেঙ্গে গেলে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
নান প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, শামিম ও তার লোকজন এভাবে লাঠি নিয়ে এসে শশুর বাড়িতে হামলা করা ঠিক হয়নি। আমরা গ্রামবাসী না এগুলো রোকসানাকে গলায় দড়ি দিয়ে যেভাবে টানাটানি করছিল এতে তার মৃত্য হতো।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে শামীমের বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এসময় আরেক বিবাদী আশিকুল বলেন, যৌতুকের কোন টাকাপয়সা নিয়ে ঘটনা মিথ্যা। আমরা তাদের কাছে টাকা পাই। সেই টাকা চাইতে গেলে আমাদের উপর তারা হামলা চালায়।
বদরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষের থানায় অভিযোগ হয়েছে। বিষয় টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
