নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় শাকিল (৪০) নামে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় জিতুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শাকিল শিববাটি এলাকার সাজুর ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক। তিনি তার পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিতু শাকিলের ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। শাকিল তা প্রত্যাখ্যান করায় তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিতুর নেতৃত্বে একদল লোক শাকিলের বাড়িতে হামলা চালায়। শাকিল সেসময় পালিয়ে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও বিকেলে জিতুরা সেখান থেকে তাকে ধরে এনে ছুরিকাঘাত এবং মারধর করে। পরে তাকে নদীর ঘাটে ফেলে যায়।
স্থানীয়রা শাকিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন্দ্রীয় কমিটি জিতুকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব শাকিল প্রত্যাখ্যান করায় পরিকল্পিতভাবে জিতু ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে গিয়ে তাকে অপহরণ করে মারধর করে। আমরা জিতু ও আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছি।