এসময় উপস্থিত ছিলেন, বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহদাত, সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাওসার হোসাইন, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ক্বারী আনোয়ার হোসেন, চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চাখারী, জামায়াত নেতা ইসহাক খান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও শহীদ হাফেজ জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমী আক্তার, শিশু পুত্র সাইফ ও মেয়ে জান্নাতসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ জসিমউদ্দিন ছিলেন জুলাই আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান। তার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারকে সহায়তা করতে এ মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে অন্যান্য শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকেও সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। ওই দিন রাতেই বরিশালের বানারীপাড়ার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে তার এক সময়ের বিদ্যাপীঠ পূর্ব সলিয়াবাকপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া কওমি কেরাতিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদের ছেলে।
জানা গেছে, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এমএসএ ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন। ঘটনার দিন ৭ নম্বর সেক্টরে ফরহাদ অটো পার্টসের দোকানে যান মাইক্রোবাসের পার্টস কিনতে। সেখান থেকে নিজ ওয়ার্কশপে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ছিলেন, জসিম উদ্দিন। সেই মাসহ স্বজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হন তিনি।