নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদ উল-আযহা উপলক্ষ্যে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে র্যাব-৯ এর সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন ও বিশেষ টহল পরিচালনা।
আসন্ন পবিত্র পবিত্র ঈদ উল-আযহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদান, পশুর হাটে অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধ, বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে ষ্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের দূর্ভোগ নিরসনে র্যাব-৯ বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯ এর সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার নিমিত্তে সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে র্যাব সার্পোট সেন্টার চালু করা হয়েছে। র্যাব সাপোর্ট সেন্টার হতে যেসকল সেবা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো- অসুস্থ হয়ে পড়া যাত্রীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্তে প্ধসঢ়;্রাথমিক মেডিকেল সহায়তা, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়া যানবাহন তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য দক্ষ মেকানিক দ্বারা যানবাহন মেরামত করার ব্যবস্থা এবং উক্ত সার্পোট সেন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দ্বারা মনিটরিং করা ও নিয়মিত অভিযোগ গ্রহণ করে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পশুর হাটে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মলমপার্টি, পকেটমারদের দৌরাতœ্য রোধকল্পে নিয়মিত টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।
এছাড়াও পশুরহাটে জালনোট সনাক্তকরণে র্যাব-৯ এর বিশেষ বুথের মাধ্যমে জালনোট সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে সার্বক্ষণিক বিশেষ টহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা মোকাবেলায় সংবাদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুততার সাথে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। র্যাব-৯ এর দায়িত্বাধীন এলাকায় বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের মোটরযানগুলো চেকিং এর আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়াও র্যাব-৯ এর তত্ত¡াবধানে খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান, টিকেট কালোবাজারীসহ টিকেটের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট চলমান রয়েছে। আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে যেকোন ধরনের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য র্যাব-৯ এর সাইবার মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। তাছাড়াও যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে র্যাব-৯ এর কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি র্যাব-৯ এর সাদা পোষাকের সদস্যরাও পশুরহাট, বাসটার্মিনাল, রেলওয়ে ষ্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করছে।
এছাড়াও, যেকোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর। জনসাধারণের ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উক্ত কার্যক্রম ঈদ পরবর্তী ০৭ (সাত) দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে।